বাণী

নিশি জেগে আমি গান শোনাবো
বন বিহগ যদি মাগে বিদায়
আমার অন্তর মধু পিয়াবো
পিয়াল ফুলের পিয়ালায়।।
বেল ফুল যদি যায় ঝরে
প্রেম ফুল দেব ডালি ভ’রে
মাধবী কুঞ্জ রচিব হিয়ায়
ফাল্গুন যদি ফিরে যায়।।
যদি নাহি বয় দখিনা বাতাস
আমার আছে অঞ্চল আছে কেশ পাশ।
যায় ডুবে যাক আকাশে চাঁদ
মোর চাঁদ যেন নাহি ডুবে যায়।।

রাগ ও তাল

রাগঃ

তালঃ কাহার্‌বা

ভিডিও

স্বরলিপি

বাণী

নূরজাহান, নূরজাহান!
সিন্ধু নদীতে ভেসে,
এলে মেঘলামতীর দেশে, ইরানি গুলিস্তান।।
নার্গিস লালা গোলাপ আঙ্গুর–লতা
শিঁরি ফরহাদ সিরাজের উপকথা
এনেছিলে তুমি তনুর পেয়ালা ভরি’
বুলবুলি দিলরুবা রবাবের গান।।
তব প্রেমে উন্মাদ ভুলিল সেলিম, সে যে রাজাধিরাজ –
চন্দন সম মাখিল অঙ্গে কলঙ্ক লোক–লাজ।
যে কলঙ্ক লয়ে হাসে চাঁদ নীল আকাশে,
যাহা লেখা থাকে শুধু প্রেমিকের ইতিহাসে,
দেবে চিরদিন নন্দন–লোক–চারী
তব সেই কলঙ্ক সে প্রেমের সম্মান।।

সঙ্গীতালেখ্য : ‌‘পঞ্চাঙ্গনা’

রাগ ও তাল

রাগঃ

তালঃ কাহার্‌বা

অডিও

শিল্পীঃ খিলখিল কাজী

শিল্পীঃ শ্যামল মিত্র

ভিডিও

স্বরলিপি

বাণী

আমার	হৃদয় অধিক রাঙা মা গো রাঙা জবাব চেয়ে,
আমি		সেই জবাতে ভবানী তোর চরণ দিলাম ছেয়ে॥
		মোর বেদনার বেদির ‘পরে
		বিগ্রহ তোর রাখবো ধ‘রে
পাষাণ দেউল সাজে না — তোর আদরিণী মেয়ে॥
স্নেহ পূজার ভোগ দেবো মা, অশ্রু-পূজাঞ্জলি,
অনুরাগের থালায় দেবো ভক্তি-কুসুম-কলি।
		অনিমেষ আঁখির বাতি
		রাখবো জ্বেলে দিবস রাতি,
তোর		রূপ হবে মা আরও শ্যামা (আমার) অশ্রুজলে নেয়ে॥

রাগ ও তাল

রাগঃ

তালঃ দাদ্‌রা

ভিডিও

স্বরলিপি

বাণী

ঐ	সর্ষে ফুলে লুটালো কার হলুদ-রাঙা উত্তরী।
	উত্তরী-বায় গো —
ঐ	আকাশ-গাঙে পাল তুলে যায় নীল সে পরীর দূর-তরী।।
তা’র	অবুঝ বীণার সবুজ সুরে
	মাঠের নাটে পুলক পুরে,
ঐ	গহন বনের পথটি ঘু’রে — আস্‌ছে দূরে কচিপাতা দূত্ ওরি।।
	মাঠ-ঘাট তার উদাস চাওয়ায় হুতাশ কাঁদে গগন মগন
	বেণুর বনে কাঁপ্‌চে গো তার দীঘল শ্বাসের রেশটি সঘন।।
তার	বেতস-লতায় লুটায় তনু
	দিগ্বিলয়ে ভুরুর ধনু,
সে	পাকা ধানের হীরক-রেণু
	নীল নলিনীর নীলিম-অণু — মেখেছে মুখ-বুক্‌-ভরি।।

রাগ ও তাল

রাগঃ

তালঃ

বাণী

আমার বিদায়-রথের চাকার ধ্বনি ঐ গো এবার কানে আসে।
পুবের হাওয়া তাই কেঁদে যায় ঝাউ-এর বনে দীঘল শ্বাসে।।
	ব্যথায়-বিবশ গুলঞ্চ ফুল
	মালঞ্চে আজ তাই শোকাকুল,
মাটির মায়ের কোলের মায়া ওগো আমার প্রাণ উদাসে।।
অঙ্গ আসে অলস হ’য়ে নেতিয়ে-পড়া অলস ঘুমে,
স্বপন-পারের বিদেশিনীর হিম-ছোঁওয়া যায় নয়ন চুমে।
	হাতছানি দেয় অনাগতা
	আকাশ ডোবা বিদায়-ব্যথা,
লুটায় আমার ভুবন ভরি’ বাঁধন-ছেঁড়ার কাঁদন-ত্রাসে।।
মোর বেদনার কর্পূর-বাস ভরপুর আজ দিগ্বলয়ে,
বনের আঁধার লুটিয়ে কাঁদে হরিণটি তার হারার ভয়ে।
	হারিয়ে-যাওয়া মানসী হায়
	নয়ন-জলে শয়ন তিতায়,
ওগো, এ কোন্ যাদুর মায়ায় দু’চোখ আমার জলে ভাসে।।
আজ আকাশ-সীমায় শব্দ শুনি অচিন পায়ের আসা-যাওয়ার,
তাই মনে হয় এই যেন শেষ আমার অনেক দাবিদাওয়ার।
	আজ কেহ নাই পথের সাথি
	সামনে শুধু নিবিড় রাতি,
আমায় দূরের বাঁশি ডাক দিয়েছে, রাখ্‌বে কে আর বাঁধন-পাশে।।

রাগ ও তাল

রাগঃ

তালঃ

বাণী

মাধব গোবিন্দ শ্রীকৃষ্ণ মুরারি॥
কহ নাম মুখে গাহ সুখে দুখে
মণিহারই করে গেঁথে রাখ বুকে
	গোলকে হরি তার সখা সাথী প্যারী॥
পেল না ব্রহ্মা শিব ধেয়ানে যাহারে
বাঁধিল গোকুলে গোয়ালিনী তারে
	যুগে যুগে সে যে প্রেমের ভিখারি॥
লীলা রসে তাহার ডুবে রও অবিরাম
এ সংসার হবে রে সুমধুর ব্রজধাম
	ধরিবেন হৃদয়ে তোরে গিরিধারী॥

রাগ ও তাল

রাগঃ

তালঃ কাহার্‌বা

স্বরলিপি