সাঁঝের পাখিরা ফিরিল কুলায়
বাণী
সাঁঝের পাখিরা ফিরিল কুলায় তুমি ফিরিলে না ঘরে, আঁধার ভবন জ্বলেনি প্রদীপ মন যে কেমন করে।। উঠানে শূন্য কলসির কাছে সারাদিন ধরে ঝ’রে প’ড়ে আছে তোমার দোপাটি গাঁদা ফুলগুলি যেন অভিমান ভরে।। বাসন্তী রাঙা শাড়িখানি তব ধূলায় লুটায় কেঁদে, তোমার কেশের কাঁটাগুলি বুকে স্মৃতির সমান বেঁধে। যাইনি বাহিরে আজ সারাদিন ঝরিছে বাদল শ্রান্তিবিহীন পিয়া পিয়া ব’লে ডাকিছে পাপিয়া এ বুকের পিঞ্জরে।।
ও মন চল অকুল পানে
বাণী
ও মন চল অকুল পানে, মাতি হরিপ্রেম-গুণগানে। নদী যেমন ধায় অকূলে কূল যত তায় টানে।। তুই কোন্ পাহাড়ে ঠেক্লি এসে কোন্ পাথারের জল হরির প্রেমে গ’লে এবার সেই অসীমে চল্, তুই স্রোতের বেগে দুল্বি রে কূল-বাধা যদি হানে।। এ পারের সব যাত্রী যাবে তোর বুকে ওপারে তোর কূলে শ্যাম বাজিয়ে বাঁশি আস্বে অভিসারে, শ্যামের ছবি ধর্বি বুকে মাত্বি প্রেম-তুফানে।।
ঝর ঝর ঝরে শাওন ধারা
বাণী
ঝর ঝর ঝরে শাওন ধারা। ভবনে এলো মোর কে পথহারা।। বিরহ রজনী একেলা যাপি সঘনে বহে ঝড় সভয়ে কাঁপি, উথলি’ উঠে ঢেউ কুটীরে নাহি কেউ — গগনে নাহি মোর চন্দ্রতারা।। নিভেছে গৃহদীপ নয়নে বারি, আঁধারে তব মুখ নাহি নেহারি। তোমার আকুল কুন্তল বাসে চেনা দিনের স্মৃতি স্মরণে আসে, আজি কি এলে মোর প্রলয়-সুন্দর — ঝলকে বিদ্যুতে আঁখি-ইশারা।।