এ কোন্ মধুর শরাব দিলে আল আরাবি সাকি, নেশায় হলাম দিওয়ানা যে রঙিন হল আঁখি।। তৌহিদের শিরাজি নিয়ে ডাকলে সবায় যারে পিয়ে, নিখিল জগৎ ছুটে এলো রইল না কেউ বাকি।। বসলো তোমার মহ্ফিল দূর মক্কা মদিনাতে, আল্-কোরানের গাইলে গজল শবে কদর রাতে। নরনারী বাদশা ফকির তোমার রূপে হয়ে অধীর যা ছিল নজ্রানা দিল রাঙা পায়ে রাখি’।
রাগঃ
তালঃ কাহার্বা
দিকে দিকে পুন জ্বলিয়া উঠেছে দীন-ই-ইসলামী লাল মশাল। ওরে বে-খবর, তুইও ওঠ্ জেগে, তুইও তোর প্রাণ-প্রদীপ জ্বাল।। গাজী মুস্তফা কামালের সাথে জেগেছে তুর্কী সুর্খ-তাজ, রেজা পহ্লবী-সাথে জাগিয়াছে বিরান মুলুক ইরানও আজ গোলামী বিসরি’ জেগেছে মিসরী, জগলুল-সাথে প্রাণ-মাতাল।। ভুলি’ গ্লানি লাজ জেগেছে হেজাজ নেজদ্ আরবে ইবনে সউদ্ আমানুল্লার পরশে জেগেছে কাবুলে নবীন আল-মামুদ, মরা মরক্কো বাঁচাইয়া আজি বন্দী করিম রীফ্-কামাল।। জাগে ফয়সল্ ইরাক আজমে, জাগে নব হারুন-আল্-রশীদ, জাগে বয়তুল মোকাদ্দস্ রে; জাগে শাম দেখ্ টুটিয়া নিদ জাগে না কো শুধু হিন্দের দশ কোটি মুসলিম বে-খেয়াল।। মোরা আস্হাব কাহাফের মত হাজারো বছর শুধু ঘুমাই, আমাদেরি কেহ ছিল বাদশাহ্ কোন কালে; তার করি বড়াই, জাগি যদি মোরা, দুনিয়া আবার কাঁপিবে চরণে টাল্মাটাল।।
মার্চের সুর
তালঃ দাদ্রা
শিল্পীঃ নাশিদ কামাল
আমি অলস উদাস আন্মনা। আমি সাঁঝ-আকাশে শান্ত নিথর রঙীন্ মেঘের আল্পনা।। অলস যেমন বনের ছায়া নীড়ের পাখি শ্রান্ত-কায়া, যেমন অলস তৃণের মুখে ভোরের শিশির হিম-কণা।। নদীর তীরে অলস রাখাল একলা ব’সে রয় যেমন, তেমনি অলস উদাস আমি রই ব’সে রই অকারণ। যেমন অলস দীঘির জলে থির হ’য়ে রয় কমল-দলে, নিতল ঘুমে স্বপন সম অলস আমি কল্পনা।।
রাগঃ মালবশ্রী মিশ্র
মোর শ্যাম সুন্দর এসো। প্রেমের বৃন্দাবনে এসো হে ব্রজধাম-সুন্দর এসো।। এসো হৃদয়ে হৃদয়েশ মোর নয়নের আগে এসো হে। মোর নব-অনুরাগে এসো শ্যাম কোটি-কাম-সুন্দর এসো।। রস মানস গঙ্গার কূলে রসরাজ এসো এসো হে। এসো মুরলী বাজায়ে এসো হে, এসো ময়ূর নাচায়ে এসো হে মধাব, মধু-বনমাঝে, এসো এসো হে।। মোর মুখের ভাষায় এসো, মোর প্রাণের আশায় এসো। নবীন নীরদ ঘনশ্যাম রূপে রূপ-পিপাসায় এসো এসো মদন-মোহন শোভন অভিরাম-সুন্দর এসো।।
তালঃ ফের্তা (দাদ্রা ও কাহার্বা)
ঝড়ের বাঁশিতে কে গেলে ডেকে হে তরুণ অশান্ত। গুরু গুরু বাজিল মেঘ-মৃদঙ্গ দুলিয়া উঠিল বন-বনান্ত।। সাগর তরঙ্গ মাঝে তব মণি-মঞ্জির বাজে, অম্বর ব্যাপিয়া দোলে ধূলি-গৈরিক তব বসন-প্রান্ত।। শাওন-ঘন তব লাবনি বিন্দু বিন্দু ঝরি’ ভরিল অবনী, কৃষ্ণ-চূড়ার রাঙা অঞ্জলি ঝরে চঞ্চল তব চরণে হে কান্ত।।
রাগঃ মিঞা কী মল্লার
তালঃ ত্রিতাল
আমি যদি বাবা হতুম বাবা হ’ত খোকা না হলে তার নাম্তা পড়া মারতাম মাথায় টোকা।। রোজ যদি হ’ত রবিবার! কি মজাটাই হ’ত গো আমার! কেবল ছুটি! থাকত নাক’ নামতা লেখাজোঁখা থাকত না কো যুক্ত অক্ষর, অঙ্কে ধর্ত পোকা।।
তালঃ ফের্তা