ও ভাই আমার এ না’ যাত্রী না লয়
বাণী
ও ভাই আমার এ না’ যাত্রী না লয় ভাঙা আমার তরী। আমি আপনারে ল’য়ে রে ভাই এপার ওপার করি।। আমি এই জলেরি আয়নাতে ভাই দেখেছিলাম তায় এখন আয়না আছে প’ড়ে রে ভাই আয়নার মানুষ নাই। তাই চোখের জলে নদীর জলে রে আমি তারেই খুঁজে মরি।। আমি তারি আশে তরী নিয়ে ঘাটে ব’সে থাকি আমার তারির নাম ভাই জপমালা, তারেই কেঁদে ডাকি। আমার নয়ন-তারা লইয়া গেছে রে নয়ন নদীর জলে ভরি’।। ঐ নদীর জলও শুকায় রে ভাই, সে জল আসে ফিরে আর মানুষ গেলে ফিরে নাকি দিলে মাথার কিরে। আমি ভালোবেসে গেলাম ভেসে গো আমি হলাম দেশান্তরী।।
জগতের নাথ কর পার হে
বাণী
জগতের নাথ কর পার হে মায়া-তরঙ্গে টলমল তরণী অকুল ভব পারাবার হে।। নাহি কাণ্ডারি ভাঙা মোর তরী আশা নাই কুলে উঠিবার আমি গুণহীন ব'লে করো যদি হেলা শরণ লইব তবে কার।। সঙসারেরি এই ঘোর পাথারে ছিল যারা প্রিয় সাথি একে একে তারা ছাড়িয়া গেল হায় ঘনাইল যেই দুখ-রাতি। ধ্রুবতারা হয়ে তুমি জ্বালো অসীম আঁধারে প্রভু আশারই আলো তোমার করুণা বিনা হে দীনবন্ধু, পারের আশা নাহি আর।।
ভুলে রইলি মায়ায় এসে ভবে
বাণী
দ্বৈত : ভুলে রইলি মায়ায় এসে ভবে তুই ভুলবি ভুলের খেলা কবে॥ স্ত্রী : নিবু নিবু তোর জীবন-বাতি শেষ হলো সুখ-রাতি, পুরুষ : রাত পোহালে সুখের সাথী সঙ্গে নাহি রবি॥ স্ত্রী : যাঁর কৃপায় তুই রইলি সুখে ডাক্লি না রে তারে পুরুষ : তুই কি নিয়ে হায় তাহার কাছে যাবি পরপারে। স্ত্রী : জমালি যা তুই জীবন ভ’রে পিছু প’ড়ে রবে পুরুষ : দারাসুত লবে বিভব রতন পাপের বোঝা নাহি লবে॥ স্ত্রী : স্রোতের মতো সময যে যায় নিয়ে শরণ প্রভুর পায় পুরুষ : কৃপা-সিন্ধুর কৃপা পেলে ত’রে যাবি তুই তবে॥
লুকোচুরি খেলতে হরি হার মেনেছ
বাণী
লুকোচুরি খেলতে হরি হার মেনেছ আমার সনে লুকাতে চাও বৃথা হে শ্যাম, ধরা পড় ক্ষণে ক্ষণে।। গহন মেঘে লুকাতে চাও অম্নি রাঙা, চরণ লেগে যে পথে ধাও সে পথ ওঠে ইন্দ্রধনুর রঙে রেঙে, চপল হাসি চম্কে বেড়ায় বিজলিতে নীল গগনে।। রবি-শশী-গ্রহ-তারা তোমার কথা দেয় প্রকাশি’ ঐ আলোতে হেরি তোমার তনুর জ্যোতি মুখের হাসি। হাজার কুসুম ফুটে’ ওঠে লুকাও যখন শ্যামল বনে। মনের মাঝে যেম্নি লুকাও, মন হয়ে যায় অম্নি মুনি, ব্যথায় তোমার পরশ যে পাই, ঝড়ের রাতে বংশী শুনি দুষ্টু তুমি দৃষ্টি হয়ে লুকাও আমার এই নয়নে দুষ্টু তুমি দৃষ্টি হয়ে থাক আমার এই নয়নে।।
কমলা রূপিণী শক্তি-স্বরূপিণী
বাণী
কমলা রূপিণী, শক্তি-স্বরূপিণী পতিব্রতা সতী ধর্ম-বিধায়িনী — সীতা, জয় সীতা। জনক দুলারী রাজকুমারী লব-কুশ-জননী, রাম-কী পিয়ারী — সীতা, জয় সীতা।। আওধ-প্রজাকুল শান্তি-বিধায়িনী পতি-অনুগামিনী, বন-বনচারিণী, অশোক-কানন উজ্জ্বলকারিণী — সীতা, জয় সীতা।। বসুমতী-অঙ্ক সমুজ্জ্বল-কারিণী সতীকে তেজ-বল-অগ্নিনিবারণী, সুখ-দুখমে পতি-চরম ভিখারিনী — সীতা, জয় সীতা।।