এবার নবীন-মন্ত্রে হবে জননী তোর উদ্বোধন
বাণী
এবার নবীন-মন্ত্রে হবে জননী তোর উদ্বোধন। নিত্যা হয়ে রইবি ঘরে, হবে না তোর বিসর্জন।। সকল জাতির পুরুষ-নারীর প্রাণ সেই হবে তোর পূজা-বেদী মা তোর পীঠস্থান: সেথা শক্তি দিয়ে ভক্তি দিয়ে পাতবে মা তোর সিংহাসন।। সেথা রইবে নাকো ছোয়াছুয়ি উচ্চ-নীচের ভেদ, সবাই মিলে উচ্চারির মাতৃ-নামের বেদ। মোরা এক জননীর সন্তান সব জানি, ভাঙব দেয়াল, ভুলব হানাহানি দীন-দরিদ্র রইবে না কেউ সমান হবে সর্বজন, বিশ্ব হবে মহাভারত, নিত্য-প্রেমের বৃন্দাবন।।
রংমহলের রংমশাল মোরা
বাণী
রংমহলের রংমশাল মোরা আমরা রূপের দীপালি। রূপের কাননে আমরা ফুলদল কুন্দ মল্লিকা শেফালি।। রূপের দেউলে আমি পূজারিণী রূপের হাটে মোর নিতি বিকিকিনি, নৌবতে আমি প্রাতে আশাবরি, আমি সাঁঝে কাঁদি ভূপালী।। আমি শরম-রাঙা চোখের নেশা, লাল শারাব আমি আঙুর-পেষা, আঁখিজলে গাঁথা আমি মোতি-মালা, দীপাধারে মোরা প্রাণ জ্বালি।।
আধখানা চাঁদ হাসিছে আকাশে
বাণী
আধখানা চাঁদ হাসিছে আকাশে আধখানা চাঁদ নিচে প্রিয়া তব মুখে ঝলকিছে গগনে জ্বলিছে অগণন তারা দু’টি তারা ধরণীতে প্রিয়া তব চোখে চমকিছে।। তড়িৎ-লতার ছিঁড়িয়া আধেকখানি জড়িত তোমার জরীণ ফিতায় রানী! অঝোরে ঝরিছে নীল নভে বারি দুইটি বিন্দু তারি প্রিয়া তব আঁখি বরষিছে।। মধুর কণ্ঠে বিহগ বিলাপ গাহে, গান ভুলি’ তা’রা তব অঙ্গনে চাহে, তাহারও অধিক সুমধুর সুর তব চুড়ি কঙ্কনে ঝনকিছে।।
তোরা সব জয়ধ্বনি কর
বাণী
তোরা সব জয়ধ্বনি কর! তোরা সব জয়ধ্বনি কর! ঐনূতনের কেতন ওড়ে কালবোশেখির ঝড় তোরা সব জয়ধ্বনি কর!! আস্ল এবার অনাগত প্রলয়–নেশায় নৃত্য–পাগল, সিন্ধু–পারের সিংহ–দ্বারে ধমক হেনে ভাঙল আগল! মৃত্যু–গহন অন্ধকুপে, মহাকালের চন্ড–রূপে ধূম্র–ধূপে বজ্র–শিখার মশাল জ্বেলে আসছে ভয়ংকর! ওরে ওই হাসছে ভয়ংকর! তোরা সব জয়ধ্বনি কর!! দ্বাদশ রবির বহ্নি–জ্বালা ভয়াল তাহার নয়ন–কটায়, দিগন্তরের কাঁদন লুটায় পিঙ্গল তার ত্রস্ত জটায়! বিন্দু তাহার নয়ন –জলে সপ্ত মহাসিন্ধু দোলে কপোল–তলে! বিশ্ব –মায়ের আসন তারই বিপুল বাহুর ‘পর – হাঁকে ঐ “জয় প্রলয়ংকর!” তোরা সব জয়ধ্বনি কর!! মাভৈঃ, ওরে মাভৈঃ, মাভৈঃ, মাভৈঃ জগৎ জুড়ে প্রলয় এবার ঘনিয়ে আসে জরায়–মরা মুমূর্ষুদের প্রাণ–লুকানো ঐ বিনাশে। এবার মহা–নিশার শেষে আসবে ঊষা অরুণ হেসে করুণ্ বেশে! দিগম্বরের জটায় লুটায় শিশু–চাঁদের কর! আলো তার ভরবে এবার ঘর! তোরা সব জয়ধ্বনি কর!!