বাণী

বল সখি বল ওরে স'রে যেতে বল।
মোর মুখে কেন চায় আঁখি-ছলছল,
	ওরে স'রে যেতে বল।।
পথে যেতে কাঁপে গা শরমে জড়ায় পা,
মনে হয় সারা পথ হয়েছে পিছল
	ওরে স'রে যেতে বল।।
জল নিতে গিয়ে সই ওর চোখে চেয়ে রই
সান-বাঁধা ঘাট যেন কাঁপে টলমল
	ওরে স'রে যেতে বল।।
প্রথম বিরহ মোর
চায় কি ও চিত-চোর;
চাঁদিনী চৈতী রাতে আনে সে বাদল
	স'রে যেতে বল
	ওরে স'রে যেতে বল।।

বাণী

তুমি		হাতখানি যবে রাখ মোর হাতের পরে
মোর		কণ্ঠ হ’তে সুরের গঙ্গা ঝরে।।
তব		কাজল-আঁখির ঘন পল্লব তলে
		বিরহ মলিন ছায়া মোর যবে দোলে
তব		নীলাম্বরীর ছোঁয়া লাগে যেন সেদিন নীলাম্বরে।।
		যেদিন তোমারে পাই না কাছে গো পরশন নাহি পাই,
		মনে হয় যেন বিশ্ব ভুবনে কেহ নাই, কিছু নাই।
		অভিমানে কাঁদে বক্ষে সেদিন বীণ
		আকাশ সেদিন হয়ে যায় বাণী হীন
যেন		রাধা নাই, আর বৃন্দাবনে গো সব সাধ গেছে ম’রে।।

বাণী

আনন্দ রে আনন্দ, আনন্দ আনন্দ,
দশ হাতে ঐ দশ দিকে মা ছড়িয়ে এলো আনন্দ।
ঘরে ফেরার বাজল বাঁশি, বইছে বাতাস সুমন্দ॥
আমার মায়ের মুখে হাসি, শরত-আলোর কিরণরাশি,
কমল বনে উঠছে ভাসি, মায়ের গায়ের সুগন্ধ॥
উঠলো বেজে দিগ্বিদিকে ছুটির মাদল মৃদঙ্গ,
মনের আজি নাই ঠিকানা, যেন বনের কুরঙ্গ।
দেশান্তরী ছেলেমেয়ে, মায়ের কোলে এলো ধেয়ে,
শিশির নীরে এলো নেয়ে স্নিগ্ধ অকাল বসন্ত॥

বাণী

ত্রিভুবনের প্রিয় মোহাম্মদ এলো রে দুনিয়ায়।
আয় রে সাগর আকাশ বাতাস দেখ্‌বি যদি আয়।।
ধূলির ধরা বেহেশ্‌তে আজ, জয় করিল দিল রে লাজ।
আজকে খুশির ঢল নেমেছে ধূসর সাহারায়।।
দেখ্‌ আমিনা মায়ের কোলে, দোলে শিশু ইসলাম দোলে।
কচি মুখে শাহাদাতের বাণী সে শোনায়।।
আজকে যত পাপী ও তাপী, সব গুনাহের পেল মাফী।
দুনিয়া হতে বে-ইনসাফী জুলুম নিল বিদায়।।
নিখিল দরুদ পড়ে লয়ে নাম, সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম।
জীন পরী ফেরেশ্‌তা সালাম জানায় নবীর পায়।।

বাণী

স্ত্রী:		ফুল বীথি এলে অতিথি
		চম্পা মঞ্জরি-কুঞ্জে পড়ে ঝরি' চঞ্চল তব পায়।
পুরুষ:	কুড়ায়ে সেই ঝরা ফুল, চাঁপার মুকুল
		গেঁথেছি মোহন-মালিকা পরাব বলিয়া তোমার গলায়।।
স্ত্রী:		হে রূপ-কুমার, সুন্দর প্রিয়তম
		এলে যে ফিরিয়া দাসীরে স্মরিয়া জীবন সফল মম।
পুরুষ:	পরো কুন্তলে ধরো অঞ্চলে
		অমিলন প্রেম-পারিজাত,
স্ত্রী:		কি হবে লয়ে সে ফুল-মালা যাহা নিশি ভোরে শুকায়।
পুরুষ:	মোছ মোছ আঁখিধার লহ বাহুর হার ভোলে অতীত ব্যথায়।
উভয়ে:	বিরহ অবসানে মিলন মধুর প্রিয়
		এ মিলন নিশি যেন আর না পোহায়।।

বাণী

যে	অবহেলা দিয়ে মোরে করিল পাষাণ।
সখি	কেন কেঁদে ওঠে তারি তরে মোর প্রাণ।।
	যে ফুল ফুটায়ে তার মধু নিল না
মোরে	ধরার ধূলিতে এনে ধরা দিল না,
কেন	তার তরে বুকে এত জাগে অভিমান।।
মোর	প্রেম-অঞ্জলি সে যত যায় দলি’
তারে	তত জড়াতে চাই, শ্যাম-সুন্দর বলি’,
	চাঁদ সে যে আকাশের সে ধরা দেয় না
তবু	চকোরীর ভুল হয় নাকো অবসান।।