মোহাম্মদ নাম যত জপি
বাণী
মোহাম্মদ নাম যত জপি, তত মধুর লাগে। নামে এত মধু থাকে, কে জানিত আগে।। ঐ নামেরি মধু চাহি' মন-ভ্রমরা বেড়ায় গাহি', আমার ক্ষুধা তৃষ্ণা নাহি ঐ নামের অনুরাগে।। ও নাম প্রাণের প্রিয়তম, ও নাম জপি মজনু সম, ঐ নামে পাপিয়া গাহে প্রাণের কুসুম-বাগে।। ঐ নামে মুসাফির রাহী চাই না তখত শাহানশাহী, নিত্য ও নাম ইয়া ইলাহী, যেন হৃদে জাগে।।
কুসুম ফুলের মালা গেঁথে
বাণী
কুসুম ফুলের মালা গেঁথে দুলিয়ে দিছি গলে। অশ্রু দিয়ে গাঁথা মালা রইলো বুকের তলে।। বন্ধু আমার আস্বে যখন ফিরে’ বিজয় রথে মরা ফুলের সাথে আমি রইবো প’ড়ে পথে, যাবার বেলা চরণ দিয়ে যাবে আমায় দ’লে।। তাহার প্রিয়ার মুখে দেবো আমার হাসি ল’য়ে রইব না গো তাহার সুখে পথের কাঁটা হ’য়ে, তা’র বাসরে আলো দেবো প্রদীপ হ’য়ে জ্ব’লে।।
দেখে যা রে দুল্হা সাজে সেজেছেন মোদের নবী
বাণী
দেখে যারে দুল্হা সাজে সেজেছেন মোদের নবী। বর্ণিতে সে রূপ মধুর হার মানে নিখিল কবি॥ আওলিয়া আর আম্বিয়া সব পিছে চলে বরাতি, আসমানে যায় মশাল জ্বেলে গ্রহ তারা চাঁদ রবি॥ হুর পরী সব গায় নাচে আজ, দেয় ‘মোবারকবাদ্’ আলম্, আর্শ কুর্শি ঝুঁকে পড়ে দেখতে সে মোহন ছবি॥ আজ আরশের বাসর ঘরে হবে মোবারক রুয়ৎ, বুকে খোদার ইশ্ক নিয়ে নওশা ঐ আল-আরবি॥
ওরে ও নতুন ঈদের চাঁদ
বাণী
ওরে ও নতুন ঈদের চাঁদ তোমার হেরে হৃদয় সাগর আনন্দে উন্মাদ।। তোমার রাঙা তশতরিতে ফিরদৌসের পরী খুশির শিরনি বিলায় রে ভাই নিখিল ভুবন ভরি খোদার রহম পড়ছে তোমার চাঁদনি রূপে ঝরি। দুখ ও শোক সব ভুলিয়ে দিতে তুমি মায়ার ফাঁদ।। তুমি আসমানে কালাম ইশারাতে লেখা যেন মোহাম্মাদের নাম। খোদার আদেশ তুমি জান স্মরণ করাও এসে যাকাত দিতে দৌলত সব দরিদ্রেরে হেসে শত্রুরে আজি ধরিতে বুকে শেখাও ভালবেসে। তোমায় দেখে টুটে গেছে অসীম প্রেমের বাঁধ।।
রুমঝুম্ রুমঝুম্ রুমঝুম্ ঝুম্ঝুম্
বাণী
রুমঝুম্ রুমঝুম্ রুমঝুম্ ঝুম্ঝুম্ নূপুর বাজে আসিল রে প্রিয় আসিল রে।। কদম্ব-কলি শিহরে আবেশে বেণীর তৃষ্ণা জাগে এলোকেশে হৃদি ব্রজধাম রস-তরঙ্গে প্রেম-আনন্দে ভাসিল রে।। ধরিল রূপ অরূপ শ্রী হরি ধরণী হলো নবীনা কিশোরী চন্দ্রার কুঞ্জ ছেড়ে যেন কৃষ্ণ চন্দ্রমা-গগনে হাসিল রে।। আবার মল্লিকা-মালতী ফোটে বিরহ-যমুনা উথলি’ ওঠে রোদন ভুলে রাধা গাহিয়া ওঠে সুন্দর মোর ভালোবাসিল রে।।