আমি গত জনমে হে প্রিয়
বাণী
আমি গত জনমে, হে প্রিয়, যত কথা বলেছিনু তব কাছে। ফুল হয়ে সেই কথা আজ পৃথিবীতে ফুটিয়াছে।। কাঁদিয়া কাঁদিয়া যত আঁখি মম নিভিয়া গিয়াছে ওগো প্রিয়তম তারা হয়ে সেই আঁখিগুলি মোর তব পথ চেয়ে আছে।। যত দীপ জ্বেলে নিশি জেগেছিনু একা বাতায়ন তলে, কমল কুমুদ হয়ে সেই দীপ ফুটেছে সায়র জলে। চকোরিনী হয়ে অপূর্ণ সাধ আজো কেঁদে যায় ওগো মোর চাঁদ, চাতকিনী হয়ে আজো মোর প্রাণ তৃষ্ণার জল যাচে।।
চাঁদিনী রাতে কানন-সভাতে আপন হাতে
বাণী
চাঁদিনী রাতে কানন-সভাতে আপন হাতে গাঁথিলে মালা। সয়েছি বুকে নিবিড় সুখে তোমারি হাতের সূচিব জ্বালা।। আজিও জাগে লোহিত রাগে রঙিন গোলাবে তাহারি ব্যথা তব ও গলে দুলিব ব’লে দিয়েছি কুলে কলঙ্ক-কালা ।। যদি ও গলে নেবে না তুলে কেন বধিলে ফুলের পরান অভিমানে হায় মালা যে শুকায় ঝ’রে ঝ’রে যায় লাজে নিরালা।।
নাটকঃ‘আলেয়া’
চরশ মেশা চন্ডুর নেশা মুন্ডু ঝিমঝিম
বাণী
চরশ মেশা চন্ডুর নেশা মুন্ডু ঝিমঝিম (কাঠসিম ঘোড়া নিম, আকুতাকু হিমশিম) বাগ বাজারে লাখো হাজার পঙ্খিরাজ অশ্বের ডিম।। নওয়াবী নেশা রওয়াবী নেশা প্রাণ হয় তরতজা, হায় হায় মদের নেশা গাঁজার নেশা এর কাছে একদম পাঁজা খুলে হৃদয় খিড়কী বাদশার লেড়কী পাঁইজোর যেন বাজায় রিম্ঝিম্।। নলে যেম্নি দম্ দি অম্নি নল-দময়ন্তী লটাপটি করে বুকে হয়ে চরণ পঙ্খি, ও গুরু (ঐ লেগেছে লটাতে পটিতে) শেয়ালের লেজুড় যেমন ঠেসে কামড়ে ধরে কাঁকড়ায় (এই ধরেছে কামড়ে লেজুড় কাঁকড়ায়) চন্ডুর নেশা তেমনি একদিন খেয়ো গিয়ে আখড়ায় প্রেমে মজে ডাইভোর্স ক’রে (তালাক দিয়ে) (দাদা) আমি ছেড়েছি কোকেন আফিম।। আফিম টাফিম সব ছেড়ে দিয়েছি সত্যি বলি এখন ভাল ছেলে হয়ে গিয়েছি জানেন মাল ধরেছি মাল, ভাল করিনি, এ্যাঁ ভাল করিনি!!
আয় ইরানি মেয়ে জংলা-পথ বেয়ে
বাণী
আয় ইরানি মেয়ে জংলা-পথ বেয়ে আয় লো। নদী যেমন চাঁদে ঢেউ-এর মালায় বাঁধে, তেমনি চাঁদে বাঁধব চিরুনির মত এলো খোঁপায় লো।। দুপুর রাতে ঝিঁ ঝিঁ ঝিল্লি-নূপুর বাজে বেদের বাঁশি কাঁদে বৌ-এর বুকের মাঝে, কাঁটা দিয়ে ওঠে গোলাপ-লতার গায়ে বুলবুলি কোথায় লো।। বেদে গেছে বনে গো হরিণী শিকারে, হরিণ-আঁখি তার প্রেয়সী তাঁবুতে কাঁদে মনের বিকারে। আমাদের জল্সায় সাকি-শিরাজি নাই আসমানের তারা-ফুল নিঙ্ড়ে তাই১ মধু খাই, বঁধূ যখন আসবে চেয়ে চেয়ে হাসবে, কবরীর যুঁই ছুঁড়ে ফেলে দিব পায় লো।।
১. তারই