কবে সে মদিনার পথে
বাণী
কবে সে মদিনার পথে, গিয়াছে সুজন। বহায়ে নয়ন বারি, ভিজিল বসন।। রমজানের ঐ চাঁদ নবী, পাঠাইলেন নূরের খুবী, পাগল করে আমার হিয়া করেছে হরণ।। পশুপাখি তরুলতা, তারা শুধায় পারের কথা, আমি একলা বসে ভাবছি হেথা নবীজীর কারণ।। বেড়াই আমি পথে পথে, খুঁজে না পাই মদিনাতে, কোথায় গেলেন পাক মোস্তফা অমূল্য রতন।। [দুখুমিয়ার লেটোগান, সংগ্রহ ও সম্পাদনা : মুহম্মদ আয়ুব হোসেন, বিশ্বকোষ পরিষদ, কলকাতা, ২০০৩]
রেকর্ড
কবে সে মদিনা পথে গিয়াছে সুজন। বহায়ে নয়ন-বারি (আমার) ভিজায়ে বদন।। রমজানের চাঁদে নবী, পাঠায় সদা নূরের ছবি, পাগল করে আমার মন করেছে হরণ।। পশুপাখি তরুলতা, তাদের শুধাই পথের কথা, কেমনে পাবো সে চাঁদে জীবন-শরণ।। খুঁজে সে মদিনা-নাথে, কেঁদে ফিরি পথে পথে, কোথা গেলে পাবো আমি ও রাঙা চরণ।।
আসে বসন্ত ফুল বনে সাজে বনভূমি সুন্দরী
বাণী
আসে বসন্ত ফুল বনে সাজে বনভূমি সুন্দরী চরণে পায়েলা রুমুঝুমু মধুপ উঠিছে গুঞ্জরি (আহা)।। দুলে আলোছায়া বন-দুকূল ওড়ে প্রজাপতি কলকা ফুল কর্ণে অতসী স্বর্ণ-দুল আলোক-লতার সাতনরি।। সোনার গোধূলি নামিয়া আয় আমার রূপালি ফুল-শোভায় আমার সজল আঁখি-পাতায় আয় রামধনু রঙ ধরি'। কবি, তোর ফুলমালী কেমন ফাগুনে শুষ্ক পুষ্প-বন বরিবি বঁধুরে এলে চ্যমন (আহা) রিক্ত হাতে কি ফুল ভরি'।।
যাবার বেলায় ফেলে যেয়ো একটি খোঁপার ফুল
বাণী
যাবার বেলায় ফেলে যেয়ো একটি খোঁপার ফুল (প্রিয়) আমার চোখের চেয়ে চেয়ো একটু চোখের ভুল (প্রিয়)।। অধর –কোণের ঈয়ৎ হাসির ক্ষণিক আলোকে রাঙ্গিয়ে যেয়ো আমার হিয়ার গহন কালোকে যেয়ো না গো মুখ ফিরিয়ে দুলিয়ে হীরের দুল।। একটি কথা ক’য়ে যেয়ো, একটি নমস্কার, সেই কথাটি গানের সুরে গাইব বারেবার হাত ধ’রে মোর বন্ধু ব’লো একটু মনের ভুল।।
কপোত কপোতী উড়িয়া বেড়াই
বাণী
উভয়ে : কপোত কপোতী উড়িয়া বেড়াই সুদূর বিমানে আমরা দু’জনে। কানন-কান্তর শিহরি’ ওঠে মোদের প্রণয়-মদির কূজনে।। স্ত্রী : ভ্রমর গুঞ্জে মঞ্জুল গীতি, হেরিয়া আমার বঁধূর প্রীতি, পুরুষ : আমার প্রিয়ার নয়নে চাহি’ কুসুম ফুটে ওঠে বিপিনে বিজনে।। স্ত্রী : তোমা ছাড়া স্বর্গ চাহি না, প্রিয়! মোদের প্রেমে চাঁদ আসে নেমে মাটির পাত্রে পান করি অমিয়।। পুরুষ : বিশ্ব ভুলায়ে ও-রাঙা পায়ে আমারে বেঁধেছে জীবনে মরণে।।