মাদল বাজিয়ে এলো বাদলা মেঘ
বাণী
মাদল বাজিয়ে এলো বাদলা মেঘ এলোমেলো মাতলা হাওয়া এলো বনে। ময়ূরী নাচে কালো জামের গাছে পিয়া পিয়া বন-পাপিয়া ডাকে গো আপন মনে।। বেত-বনের আড়ালে ডাহুকী ডাকে, ডাকে না এমন দিনে কেহ আমাকে, বেণীর বিনুনী খুলে পড়ে একলা মন টেকে না ঘরের কোণে।। জঙ্গল পাহাড় কাঁপে বাজের আওয়াজে, বুকের মাঝে তবু নূপুর বাজে।। ঝিঁঝিঁ তার ডাক ভুলে ঝিম্ ঝিম্ ঝিম্ বৃষ্টির বাজ্না শোনে।।
দুরন্ত বায়ু পূরবইয়াঁ বহে
বাণী
দুরন্ত বায়ু পূরবইয়াঁ বহে অধীর আনন্দে তরঙ্গে দুলে আজি নাইয়া রণ-তুরঙ্গ-ছন্দে।। অশান্ত অম্বর-মাঝে মৃদঙ্গ গুরুগুরু বাজে, আতঙ্কে থরথর অঙ্গ মন অনন্তে বন্দে।। ভূজঙ্গী দামিনীর দাহে দিগন্ত শিহরিয়া চাহে, বিষন্ন ভয়-ভীতা যামিনী খোঁজে সেতারা চন্দে।। মালঞ্চে এ কি ফুল-খেলা, আনন্দে ফোটে যূথী বেলা, কুরঙ্গী নাচে শিখী-সঙ্গে মাতি’ কদম্ব-গন্ধে।। একান্তে তরুণী তমালী অপাঙ্গে মাঝে আজি কালি, বনান্তে বাঁধা প’ল দেয়া কেয়া-বেণীর বন্ধে।। দিনান্তে বসি’ কবি একা পড়িস্ কি জলধারা-লেখা, হিয়ায় কি কাঁদে কুহু-কেকা আজি অশান্ত দ্বন্দ্বে।।
মদির আঁখির সুধায় সাকি ডুবাও আমার
বাণী
মদির আঁখির সুধায় সাকি ডুবাও আমার এ তনু মন আজিকে তোমায় ও আমায় বেদনার বাসর জাগরণ। মঙ্গালস ও আঁখি তব, সাকি, দিল দোলা প্রাণে।। বাদল-ছাওয়া এ গুল-বাগিচায় বুলবুল কাঁদে গজল গানে।। গোলাবী গুলের নেশা ছিল মোর ফুলেল ফাগুনে। শুকায়ে গিয়াছে ফুলবন, নাই গোলাব গুলিস্তানে।। শুনি, সাকি তোমার কাছে ব্যথা ভোলার দারু আছে — হিয়া কোন অমিয়া যাচে জান তুমি, খোদা জানে।। দুখের পশরা লয়ে বিফল কাঁদিয়া বৃথা (সাকি)। সকলি গিয়াছে যখন যাক ঈমান শ্যরাব পানে।।
ওগো চৈতী রাতের চাঁদ যেয়ো না
বাণী
ওগো চৈতী রাতের চাঁদ, যেয়ো না সাধ না মিটিতে যেতে চেয়ো না।। হের তরুলতায় কত আশার মুকুল, ওগো মাধবী-চাঁদ আজো ফোটেনি ফুল, তুমি যেয়ো না, প্রিয় যেয়ো না — ঝরা মুকুলে বনবীথি ছেয়ো না তুমি যেয়ো না, প্রিয় যেয়ো না, ওগো যেয়ো না।। আজো ফুলের নেশায় পাগল দখিন হাওয়া আজো বোলেনি পাপিয়া 'পিয়া পিয়া' গাওয়া তুমি এখনি বিদায়-গীতি গেয়ো না তুমি যেয়ো না, প্রিয় যেয়ো না।।