ঘর-ছাড়া ছেলে আকাশের চাঁদ
বাণী
ঘর-ছাড়া ছেলে আকাশের চাঁদ আয় রে। জাফ্রানি রঙের পরাব পিরান তোর গায় রে।। আস্মানে যেতে চায় তারা হয়ে আমার নয়ন-তারা (তোর) খেলার সাথি কাঁদে শাপ্লার ফুল, ফিরে আয় পথ-হারা, দু’নয়ন ঘুমে ঢুলে, হৃদয় ঘুমায় না, কাছে পেতে চায় রে।। চোখের কাজল তোর চাঁদ-মুখে লেগেছে, (আয়) মুছাব আঁচলে দেখ্ মায়ের তোর স্নেহের সাগর আছে উথলে, (মোর) মনের ময়না! ঘরে মন রয় না, পথ চেয়ে’ রাত কেটে যায় রে।।
চলচ্চিত্র : ‘চৌরঙ্গী’
ওরে যোগ-সাধনা পরে হবে
বাণী
ওরে যোগ-সাধনা পরে হবে নাম জপ্ তুই আগে। সকল কাজে সকাল সাঁঝে গভীর অনুরাগে।। ওরে যে ঠাকুরে পরান যাচে সে নামের মাঝে লুকিয়ে আছে, যেমন বীজের মাঝে মহাতরু সঙ্গোপনে জাগে।। বীজ না বুনে আগে ভাগেই ফসল খুঁজিস্ তুই, তাই চিরকাল পোড়ো জমি রইল মনের ভুঁই। তোর কোন্ পথ নাম জপের শেষে দেখিয়ে দেবেন তিনিই এসে, তোর জীবন হবে প্রেমে রঙীন রঙ যদি রে লাগে। তাঁর মধুর নামের রঙ যদি রে লাগে।।
ঝুম্কো লতায় জোনাকি
বাণী
ঝুম্কো লতায় জোনাকি, মাঝে মাঝে বৃষ্টি। আবোল-তাবোল বকে কে, তারও চেয়ে মিষ্টি।। আকাশে সব ফ্যাকাশে, ডালিম-দানা পাকেনি চাঁদ ওঠেনি কোলে তার, মা ব’লে সে ডাকেনি।। রাগ করেছে বাঘিনী, বারো বছর হাসে না স্বপ্ন তাহার ভেঙ্গে যায়, খোকা কেন আসে না।। পাথর হয়ে আছে ঝিনুক, দুধের বাটি, দোলনা! মাকে বলে ‘খোকা কই?’ কিছুই খেলা হ’ল না।। তেমনি আছে ঘরের জিনিস, কিছুই ভাল লাগে না পা আছড়ে মা কেঁদে কয় ‘খোকা কেন ভাঙে না!’
চলচ্চিত্র : ‘দিকশূল’
দীপ নিভিয়াছে ঝড়ে জেগে আছে মোর আঁখি
বাণী
দীপ নিভিয়াছে ঝড়ে জেগে আছে মোর আঁখি। কে যেন কহিছে কেঁদে মোর বুকে মুখ রাখি’ ‘পথিক এসেছ না কি’।। হারায়ে গিয়াছে চাঁদ জল-ভরা কালো মেঘে আঁচলে লুকায়ে ফুল বাতায়নে আছি জেগে’ শূন্য গগনে দেয়া কহিতেছে যেন ডাকি’ ‘পথিক এসেছ না কি’।। ভাঙিয়া দুয়ার মম কাড়িয়া লইতে মোরে এলে কি ভিখারি ওগো প্রলয়ের রূপ ধ’রে? ফুরাইয়া যায় বঁধু শুভ-লগনের বেলা আনো আনো ত্বরা করি’ ওপারে যাবার ভেলা ‘পিয়া পিয়া’ ব’লে বনে ঝুরিছে পাপিয়া পাখি ‘পথিক এসেছ না কি’।।