বাণী

তুমি যেয়ো না তুমি যেয়ো না।
মিলনের সাধ না মিটিতে চাঁদ বিদায় চেয়ো না।।
	শোনো গো আমার বক্ষের মাঝে
	সাত সাগরের ক্রন্দন বাজে,
জোয়ারের তরী এখনই বন্ধু ভাটার স্রোতে বেয়ো না।।

নাটক : ‘মধুমালা’ (স্বপনপরীর গান)

বাণী

কেন ঘুম ভাঙালে প্রিয় যদি ঠেলিবে পায়ে।
বৃথা বিকশিত কুসুম কি যাবে শুকায়ে,
একা বন-কুসুম ছিনু বনে ঘুমায়ে।।
ছিল পাশরি’ আপন-বেভুল কিশোর-হিয়া,
বধূর বিধূর-যৌবন কে দিলে জাগায়ে।।
প্রিয় গো প্রিয় —
আকাশ-বাতাস কেন ব্যথার রঙে তুমি দিলে রাঙায়ে।।

নাটক : ‘আলেয়া’

বাণী

হে নিঠুর ! তোমাতে নাই আশার আলো।
তাই কি তোমার রূপ কৃষ্ণ কালো।।
তুমি ত্রিভঙ্গ তাই তব সকলি বাঁকা
চোখে তব কাজলের ছলনা মাখা।
নিষাদের হাতে বাঁশি সেজেছে ভালো।।

নাটকঃ ‘বিদ্যাপতি’

বাণী

প্রাণের ঠাকুর লীলা করে আমার দেহের আঙিনাতে
রসের লুকোচুরি খেলা নিত্য আমার তারই সাথে।।
তারে নয়ন দিয়ে খুঁজি যখন
অন্তরে সে লুকায় তখন
অন্তরে তায় ধরতে গেলে লুকায় গিয়ে নয়ন-পাতে।।
ঐ দেখি তার হাসির ঝিলিক আমার ধ্যানের ললাট-মাঝে
ধরতে গেলে দেখি সে নাই কোন্ সুদূরে নূপুর বাজে।
এত কাছে রয় সে তবু পাই না তারে হাতে হাতে।।

বাণী

কেন গো যোগিনী! বিধুর অভিমানে।
যৌবনে মগন গভীর ধ্যানে।।
হের গো কুসুম ঝরিয়া পায়ে,
চাহিয়া রহে ধরণীর পানে।।

বাণী

আমি		কালি যদি পেতাম কালী রইত না এ মনে কালি।
মোর		সাদা মনের পদ্মপাতায় লিখ্তাম তোর শ্রীনাম খালি।।
		(মা)	কালী পেলে সকল কালো
			এই নিমিষে হ’ত আলো,
(মা)		কালো পাতার কোলে যেমন ফুটে থাকে ফুলের ডালি।।
(তোর)		কালো রূপের নীল যমুনা বইত যদি মনের মাঝে,
(শ্যামা!)		দেখ্‌তে পেত এই ত্রিভুবন, কোথায় শ্যামের বেণু বাজে।
		তোর কালো রূপের কৃষ্ণ আকাশ পেলে,
(আমি)		ময়ূর হয়ে নাচতাম মা তারার পেখম মেলে।
		দুঃখে কালো কপালে মোর হাস্‌ত শিশু-চাঁদের ফালি।।