বাণী

ঘুম যবে ভাঙবে কন্যা (সুখ) স্বপন যাবে টুটে।
ফুল-শয্যার ফুটবে কাঁটা প্রভাতবেলা উঠে।।

নাটক : ‘মধুমালা’ (ঘুমপরীর গান)

বাণী

আমি	বেলপাতা জবা দেব না মাগো দেব শুধু আঁখিজল।
	মাগো হাত দিয়ে যাহা দেওয়া যায়, পাই হাতে শুধু তার ফল।।
	হাত দিয়ে ফল দিতে যাই
	(মাগো) হাতে হাতে তার ফল পাই,
	পাই অর্থ বিভব যশ
	পাই না অমৃত আনন্দ মাগো, পাই না হৃদয়ে রস।
	তাই আঁখিতে রাখিব ব’লে মা আনিয়াছি আঁখি ছলছল।।
	এবার রাখিব চোখে চোখে তোরে ছাড়িয়া দেব না আর,
	মাগো তুই চ’লে গেলে হয়ে যায় মোর ত্রিলোক অন্ধকার।
		এবার দেখিবে নিত্য হৃদয়
		তোর রাঙা চরণের অরুণ উদয়,
	তাই জবা ফেলে দিয়ে মেলিয়াছি তাই হৃদয়ের শতদল।।

বাণী

সাঁঝের আঁচলে রহিল হে প্রিয় ঢাকা।
ফুলগুলি মোর বেদনার রং মাখা।।
		আসিবে যখন ফিরে
		আবার এ মন্দিরে,
চরণে দলিও আলপনা মোর অশ্রুর জলে আঁকা।।
বিরহ-মলিন বন-তুলসীর শুকানো মালিকাখানি,
ফেলিবার আগে ধন্য করিও একটু পরশ দানি’।
		যেতে এই পথ ’পরে
		যদি মোরে মনে পড়ে,
যমুনার জলে ভাসাইয়া দিও একটি মাধবী শাখা।।

বাণী

বনের হরিণ আয় রে বনের হরিণ আয়
কাজল-পরা চোখ নিয়ে আয় আমার আঙিনায় রে।।
(দেখ্‌) নেই বনে কেউ এক্‌লা দুপুর
আয় ঝরা পাতায় বাজিয়ে নুপুর, ঝুমুর ঝুমুর
তোরে ডাকে নোটন পায়রার দল ডাকে মেঘের ঝরোকায় রে।।
কি দেখে তুই ধীরি ধীরি চাস্‌ রে ফিরি ফিরি,
বন্‌-শিকারির তীর নহে ও, ঝরনা ঝিরি ঝিরি।
	মাদল বাজে ঈশান কোণে
	ঝড় উঠেছে আমার মনে
সেই তুফানের তালে তালে নাচ্‌বি চপল পায় রে।।

বাণী

বাঁকা শ্যামল এলো বন-ভবনে
তার বাঁশির সুর শুনি পবনে॥
	রাঙা সে চরণের নূপুর-রোলে রে
	আকুল এ হৃদয় পুলকে দোলে রে
সে নূপুর শুনি’ নাচে ময়ূর কদম তমাল-বনে॥
	বুঝি সেই শ্যামের পরশ লাগিল
	আমার চরণে তাই নাচন জাগিল —
ঘিরি শ্যামে দখিন-বামে নেচে বেড়াই আপন মনে॥
	এলো মাধবী চাঁদ গগন আঙিনায়
	জোয়ার এসেছে তাই হৃদয় যমুনায়
খুলিয়া গলার মালা পরাব শ্যামেরি বরণে॥

বাণী

চির-আপনার তুমি হে হরি।
তুমি ভুলো না যদি আমি রই পাশরি’।।
আমি ভুলিয়া যদি কভু রহি ঘুমে
তুমি ঘুম ভাঙাও মোর আঁখি চুমে,
তুমি আমি এক তরীতে তরি।।
আমার বাঁধন মোচন মাঝে
হরি হে তোমারও মুকুতি রাজে,
তুমি জীবনে আমার আছ প্রাণ ধরি’।।