বাণী

নাই হ'ল মা বসন ভূষণ এই ঈদে আমার।
আল্লা আমার মাথার মুকুট রসুল গলার হার।।
নামাজ রোজার ওড়না শাড়ি, ওতেই আমায় মানায় ভারি,
কল্‌মা আমার কপালে টিপ, নাই তুলনা তার।।
হেরা গুহারই হীরার তাবিজ, কোরান বুকে দোলে
হাদিস্‌ ফেকাহ্‌ বাজুবন্দ্‌ দেখে পরাণ ভোলে।
হাতে সোনার চুড়ি যে মা, হাসান হোসেন মা ফাতেমা,
মোর অঙ্গুলিতে অঙ্গুরি, মা নবীর চার ইয়ার।।

বাণী

ডাকতে তোমায় পারি যদি আড়াল থাকতে পারবে না
এখন আমি ডাকি তোমায় তখন তুমি ছাড়বে না।।
	যদি দেখা না পাই কভু —
	সে দোষ তোমার নহে প্রভু
সে সাধনায় আমারি হার জানি তুমি ছাড়বে না।।
বহু লোকের চিন্তাতে মোর বহু দিকে মন যে ধায়,
জানি জানি, অভিমানী পাইনে আজ তাই তোমায়।
	বিশ্ব, ভুবন ভুলে যেদিন
	তোমার ধ্যানে হব বিলীন,
সেদিন আমার বক্ষ হতে চরণ তোমার কাড়বে না।।

বাণী

নমস্তে বীণা পুস্তক হস্তে দেবী বীণাপাণি।
শতদল-বাসিনী সিদ্ধি-বিধায়িনী সরস্বতী বেদবাণী।।
	এসো আমল ধবল শুভ সাত্ত্বিকী বর্ণে,
	হংস-বাহনে লীলা উৎপল কর্ণে,
এসো বিদ্যারূপিণী মা শারদা ভারতী এসো ভীতজনে বরাভয় দানি।।
	শুদ্ধ জ্ঞান দাও শুভ্র আলোক
	অজ্ঞান তিমির অপগত হোক।
মৃতজনে সঙ্গীত-অমৃত দাও মা বীণাতে মাভৈঃ ঝঙ্কার হানি।

বাণী

ওরে গো-রাখা রাখাল তুই কোথা হতে এলিরে
	আষাঢ় মাসের মেঘের বরণ কেমন ক'রে পেলি রে।।
	কে দিয়েছে আলতা মেখে পা'য়
	চলতে গেলে নূপুর বেজে যায় রে; নূপুর  বেজে' যায়।
তোর	আদুল গায়ে বাঁধা কেন গাঁদা রঙের চেলি রে।।
তোর	ঢলঢলে দুই চোখে যেন নীল শালুকের কুঁড়ি রে
তোরে	দেখে কেন হাসে যত গোপ-কিশোরী রে।
তোর	গলার মালার গন্ধে আমার মন
	গুনগুনিয়ে বেড়ায় রে মৌমাছি যেমন রে;
তুই	ঘর-সংসার ভুলালি কোন মায়াতে ফেলি' রে।।

বাণী

কালা		এত ভাল কি হে কদম্ব গাছের তলা।
আমি		দেখ্‌ছি কত দেখ্‌ব কত তোমার ছলাকলা;
আমি		নিতুই নিতুই সবই কত, (কালা) তিন সতিনের জ্বালা॥
আমি		জল নিতে যাই যমুনাতে তুমি বাজাও বাঁশি হে,
		মনের ভুলে কলস ফেলে তোমার কাছে আসি হে,
শ্যাম		দিন-দুপুরে গোকুলপুরে (আমার) দায় হল পথ চলা॥
আমার	চারদিকেতে ননদ-সতীন দু’কূল রাখা ভার,
		আমি সইব কত আর বাঁকা শ্যাম।
ওরা		বুঝছে সবই নিত্যি-নতুন, (নিতি) মিথ্যে কথা বলা॥

বাণী

যে আল্লার কথা শোনে তারি কথা শোনে লোকে।
আল্লার নূর যে দেখেছে পথ পায় লোক তার আলোকে।।
	যে আপনার হাত দেয় আল্লায়
	জুল্‌ফিকারের তেজ সে পায়,
যার চোখে আছে খোদার জ্যোতি রাত্রি পোহায় তারি চোখে।।
ভোগের তৃষ্ণা মিটেছে যার খোদার প্রেমের শিরনি পেয়ে,
যায় বাদ্‌শা-নবাব গোলাম হ'য়ে সেই ফকিরের কাছে যেয়ে।
আসে সেই কওমের ইমাম সেজে কওমকে পেয়েছে যে,
তারি কাছে খোদার দেওয়া শান্তি আছে দুখে-শোকে।।