বাণী

তব	চঞ্চল আঁখি কেন ছলছল হে।
	হেরি মোরা অবিরল জলে ভাসে কমল
	হেরি আজি কমলে উথলে জল হে।।
	চিরদিন কাঁদায়েছে যে জল নিঠুর
আজি	অশ্রু করেছে তারে একি সুমধুর
বঁধু	সাধ যায় ধরি তব সমুখে মুকুর
যেন	বরষিছে চাঁদ মুকুতাদল হে।
কোন	অকরুণা ভাঙিল হে পাষাণের বাঁধ
তব	কলঙ্ক লেখা গেল ধুয়ে যে হে চাঁদ।
	কাঁদ কাঁদ হে বঁধু তবে বুঝিবে মনে
কত	বেদনা পেলে জল ঝরে নয়নে
আজি	কাঁদিয়া শ্যামল হ'লে নির্মল হে।।

রাগ ও তাল

রাগঃ

তালঃ কাহার্‌বা

স্বরলিপি

বাণী

ওমা দনুজ-দলনী মহাশক্তি নমো অনন্ত কল্যাণ-দাত্রী (নমো)।
পরমেশ্বরী মহিষ-মর্দিনী চরাচর-বিশ্ব-বিধাত্রী (নমো নমঃ)।।
		সর্বদেব-দেবী তেজোময়ী
		অশিব-অকল্যাণ-অসুর-জয়ী,
দশভুজা তুমি মা, ভীতজন-তারিণী জননী জগৎ-ধাত্রী।।
দীনতা ভীরুতা লাজ গ্লানি ঘুচাও, দলন কর মা লোভ দানবে;
রূপ দাও, জয় দাও, যশ দাও, মান দাও, দেবতা কর ভীরু মানবে।
		শক্তি বিভব দাও, দাও মা আলোক
		দুঃখ-দারিদ্র্য অপগত হোক্‌,
জীবে জীবে হিংসা, এই সংশয় (মাগো) দূর হোক পোহাক এ দুর্যোগ রাত্রি।।

রাগ ও তাল

রাগঃ বাগেশ্রী-বাহার

তালঃ ত্রিতাল

ভিডিও

স্বরলিপি

বাণী

শক্তের তুই ভক্ত শ্যামা (তোরে) যায় না পাওয়া কেঁদে।
(তাই) শাক্ত সাধক রাখে তোরে ভক্তি-ডোরে বেঁধে।।
(মা) শাক্ত বড় শক্ত ছেলে
(সে) জানে দড়ি আলগা পেলে
যাবি পালিয়ে চোখে ধূলা দিয়ে মায়া জালে বেঁধে।।
(তুই) সুরাসুরে ভুলিয়ে রাখিস্‌ ইন্দ্রত্বের মোহে,
(ওমা) গুণের কিছু ঘাট নাই তোর নির্গুণ তাই কহে।
তোর মায়াতে ভুলে গিয়ে,
বিষ্ণু ঘুমান লক্ষী নিয়ে
(তোর) অন্ত খুঁজে শিব হয়েছেন ভবঘুরে বেদে।।

রাগ ও তাল

রাগঃ

তালঃ কাহার্‌বা

ভিডিও

স্বরলিপি

বাণী

মোরে পূজারি কর তোমার ঠাকুর ঘরে হে ত্রিজগতের নাথ।
মোর সকল দেহ লুটাক তোমার পায়ে (হয়ে) একটি প্রণিপাত।।
	নিত্য যেন তোমারি মন্দিরে
	চিত্ত আমার ব্যাকুল হয়ে ফিরে
গ্রহ যেমন সূর্যলোক ঘিরে ঘুরে দিবস রাত।।
মোর নয়ন যেন তোমারি রূপ হেরে সকল দেখার মাঝে
যেন এ রসনা জপে তোমারি নাম হে নাথ সকল কাজে।
	তোমার চরণ রয় যে শতদলে
	তারি পানে মোর মন যেন চলে
নিত্য তোমায় নমস্কারের ছলে (যেন) যুক্ত থাকে হাত।।

রাগ ও তাল

রাগঃ

তালঃ কাহার্‌বা

ভিডিও

স্বরলিপি

 

বাণী

ঘোড়া-পূজার মন্ত্র : 
ওঁ নমস্তে শ্রী বিলাতী অশ্ব সাহেব হর্স নমোহ নমঃ।
চতুষ্পদ একপুচ্ছ শৃঙ্গহীন জীব আদর্শ —
			সাহেব হর্স নমো নমঃ।।
অ্যাই, আরে পঙ্খীরাজের বাচ্চা আমার ঘোড়া ছুইট্যা যাও।
ক্যাৎরাইয়া দুই চক্ষুরে ঘোড়া ছ্যাৎরাইয়া চাইর পাও।।
স্বর্গপানে ল্যাজ উঠাইয়া, (ছোট) চিঁহি চুঁহু চিঁহি চুঁহু ডাইক্যা
আমরা দুজন রাত্র জাগুম ছোলা ভিজাইয়া রাইখ্যা (রে)
ফাস্‌টো যদি না হও ঘোড়া, (তোমার) ঘোড়ানীর মাথা খাও
					হালা কচ্‌মচাইয়া খাও।।
		তোমার ঘোড়ানীর মাথা কচ্‌মচাইয়া খাও।।

নাটিকা : ‘বিলাতী ঘোড়ার বাচ্চা’

রাগ ও তাল

রাগঃ

তালঃ কাহার্‌বা

ভিডিও

স্বরলিপি

বাণী

ওরে এ কোন্ স্নেহ-সুরধুনী নামলো আমার সাহারায়।
বক্ষে কাঁদার বান ডেকেছে, আজ হিয়া কূল না হারায়।।
কণ্ঠে চেপে শুষ্ক তৃষা
মরুর সে-পথ তপ্ত সীসা,
চ’লতে একা পাইনি দিশা ভাই,
বন্ধ নিঃশ্বাস — একটু বাতাস্!
এক ফোঁটা জল জহর-মিশা! মিথ্যা আশা, নাই সে নিশানা’ই
হঠাৎ ও-কার ছায়ার মায়া রে —
যেন ডাক-নাম আজ গাল্-ভরা ডাক ডাকছে কে ঐ মা-হারায়।।
লক্ষ যুগের বক্ষ-ছায়া তুহিন্ হ’য়ে যে ব্যথা আর কথা ছিল ঘুমা,
কে সে ব্যথায় বুলায় পরশ রে?
ওরে গলায় তুহিন্ কাহার কিরণ-তপ্ত সোহাগ-চুমা?
ওরে ও-ভূত, লক্ষ্মী-ছাড়া
হতভাগা বাঁধন-হারা,
কোথায় ছুটিস্! একটু দাঁড়া, হায়!
ঐ ত তোরে ডাক্‌ছে স্নেহ
হাতছানি দেয় ঐ ত গেহ,
কাঁদিস্ কেন পাগল-পারা তায়?
এত ডুক্‌রে’ কিসের তিক্ত কাঁদন তোর?
অভিমানী! মুখ ফেরা দেখ্ যা পেয়েছিস্ তা’ও হারায়!
হায়, বুঝ্‌বে কে যে স্নেহের ছোঁওয়ায় আমার বাণী রা’ হারায়।।

রাগ ও তাল

রাগঃ

তালঃ লোফা