বাণী

	সন্ধ্যা হলো ঘরকে চলো, ও ভাই মাঠের চাষি
	ভাটিয়ালি সুরে বাজে রাখাল ছেলের বাঁশি।।
	পিদিম নিয়ে একলা জাগে একলা ঘরের বধূ
	হৃদয়-পাতে লুকিয়ে রেখে সারা দিনের মধু;
	পথ চেয়ে সে বসে আছে কাজ হয়েছে বাসি রে তার
		কাজ হয়েছে বাসি।
(যে)	মন সারাদিন ছিল পড়ে হালের গরুর পানে,
	দিনের শেষে ঘরের জরু সেই মনকে টানে
	সেথা মেটে ঘরের দাওয়ায় লুটায় রে
	মেটে ঘরের দাওয়ায় লুটায় কালো চোখের হাসি রে ভাই
		কালো চোখের হাসি।
	পুবান হাওয়া ঢেউ দিয়ে যায় আউশ ধানের ক্ষেতে,
	এই ফসলের দেখব স্বপন শুয়ে শুয়ে রেতে;
		ও ভাই শুয়ে শুয়ে রেতে
	সকাল বেলা আবার যেন মাঠে ফিরে আসি রে
		এই মাঠে ফিরে আসি।।

রাগ ও তাল

রাগঃ

তালঃ দ্রুত-দাদ্‌রা

ভিডিও

স্বরলিপি

বাণী

আল্লাজী গো, আমি বুঝি না রে তোমার খেলা।
তাই দুঃখ পেলে ভাবি — বুঝি হানিলে হেলা।। 
কুমার যখন হাঁড়ি গড়ে, কাঁদে মাটি —
ভাবে, কেন পোড়ায় আমায় চড়িয়ে ভাটি;
ফুলদানি হয় পোড় খেয়ে সেই মাটির ঢেলা।। 
মা শিশুরে ধোয়ায় মোছায়, শিশু ভাবে —
ছাড়া পেলে, মা ফেলে সে পালিয়ে যাবে।
মোরা, দোষ করে তাই দুষি তোমায় সারা বেলা।।
আমরা তোমার বান্দা, খোদা তুমি জানো —
কেন হাসাও, কেন কাঁদাও, আঘাত হানো।
যে গড়তে জানে তাঁরই সাজে ভেঙে ফেলা।।

রাগ ও তাল

রাগঃ

তালঃ কাহার্‌বা

ভিডিও

স্বরলিপি

বাণী

বাঁশি কে বাজায় বনে আমি চিনি আমি চিনি,
কলসে কাঁকন চুড়ি তাল দিয়ে কয় গো রিনিঝিনি।
			আমি চিনি আমি চিনি।।
বুঝি গো বন পাপিয়া তারেই দেখে
‘চোখ গেল, চোখ গেল’ বলে উঠে ডেকে।
ও বাঁশি বাজলে ‘জলে যাসনে’, (ও বৌ যাস্‌নে)
বলে ‘ননদিনী’ ‘ননদিনী’।আমি চিনি আমি চিনি।।
মোর সেই বাঁশুরিয়ায় চেনে পাড়ার পড়শিরা
চেনে তায় যায় যমুনায় গো যত প্রেমের গরবীরা।
সে যে মোর ঘর জ্বালানো পর ভুলানো
আমার কালো বরণ গো, তমালের ডাল দুলানো।
মন কয় আমায় নিয়ে গো সেই ত খেলে ছিনিমিনি।।

রাগ ও তাল

রাগঃ

তালঃ দ্রুত-দাদ্‌রা

ভিডিও

স্বরলিপি

বাণী

তোমা বিনা মাধব রহিতে পারি না আর।
বায়ু বিনা যেমন বাঁচে না জীবন তেমনি আপন তুমি যে আমার॥
	মেঘ বিনা চাতকিনী মরে যায়,
	জল বিনা যেমন শতদল ঝরে যায়,
তিল্ তিল্ করি মরিতেছি আমি যে তেমনি বিরহে তোমার॥
তুমি ছাড়া প্রীতম্ মনে হয় কেহ মোর নাহি এ নিখিলে;
নিভে গেছে রবি-শশী, ডুবে গেছে পৃথিবী প্রলয়-সলিলে।
আর সকলের, তুমি প্রভু, ধ্রুব-জ্যোতি;
			কৃষ্ণ নয়ন-তারা তুমি যে মীরার॥

রাগ ও তাল

রাগঃ পিলু-খাম্বাজ

তালঃ কাহার্‌বা

বাণী

আরো কত দূর?
কখন শুনিব তব বাঁশরির সুর?
দেবে কখন ধরা হব স্বয়ম্ভরা
কাঁদাতে জান শুধু তুমি নিঠুর।।

রাগ ও তাল

রাগঃ

তালঃ

বাণী

সৃজন ছন্দে আনন্দে নাচো নটরাজ
হে মহকাল প্রলয়–তাল ভোলো ভোলো।।
	ছড়াক তব জটিল জটা
	শিশু–শশীর কিরণ–ছটা
উমারে বুকে ধরিয়া সুখে দোলো দোলো।।
মন্দ–স্রোতা মন্দাকিনী সুরধুনী–তরঙ্গে
সঙ্গীত জাগাও হে তব নৃত্য–বিভঙ্গে।
	ধুতরা ফুল খুলিয়া ফেলি’
	জটাতে পর চম্পা বেলী
শ্মশানে নব জীবন, শিব, জাগিয়ে তোলো।।

রাগ ও তাল

রাগঃ তিলক কামোদ

তালঃ ঝাঁপতাল

অডিও

শিল্পীঃ ইন্দ্রানী গাঙ্গুলী

শিল্পীঃ শিমুল ইউসুফ

ভিডিও

স্বরলিপি