বাণী
(হরি) নাচত নন্দদুলাল শ্যামল সুন্দর মদন মনোহর নওল কিশোর কানাইয়া গোপাল। নাচত গিরিধারী ময়ূর মুকুট পরি দিকে দিকে ছন্দ আনন্দ পড়িছে ঝরি নাচে গোপী সখা বংশীওয়ালা হরি রুনুঝুনু বাজওত ঘুঙ্গুর তাল।
নাটিকাঃ ‘মীরাবাঈ’
রাগ ও তাল
রাগঃ
তালঃ কাহার্বা
যেদিন রোজ হাশরে করতে বিচার তুমি হবে কাজী সেদিন তোমার দিদার আমি পাব কি আল্লাজী।। সেদিন নাকি তোমার ভীষণ কাহ্হার রূপ দেখে পীর পয়গম্বর কাঁদবে ভয়ে ‘ইয়া নফসী’ ডেকে; সেই সুদিনের আশায় আমি নাচি এখন থেকে। আমি তোমায় দেখে হাজারো বার দোজখ যেতে রাজী। আল্লাহ তোমায় দেখে হাজারো বার দোজখ যেতে রাজি।। যেরূপে হোক বারেক যদি দেখে তোমায় কেহ দোজখ্ কি আর ছুঁতে পারে পবিত্র তাঁর দেহ। সে হোক না কেন হাজার পাপী হোক না বে-নামাজী।। ইয়া আল্লাহ, তোমার দয়া কত তাই দেখাবে ব’লে রোজ-হাশরে দেখা দেবে বিচার করার ছলে, — প্রেমিক বিনে কে বুঝিবে তোমার এ কারসাজি।।
রাগঃ
তালঃ কাহার্বা
সখি আমি-ই না হয় মান করেছিনু তোরা তো সকলে ছিলি। ফিরে গেল হরি, তোরা পায়ে ধরি, কেন নাহি ফিরাইলি।। তা'রে ফিরায় যে পায়ে ধরি' (তার) পায়ে পায়ে ফেরেন হরি পরিহরি মান, অভিমান (তা'রে) কেন নাহি ফিরাইলি। তোরা তো হরির স্বভাব জানিস। তা'র স্ব-ভাবের চেয়ে পরভাব বেশি তোরা তো হরির স্বভাব জানিস্। তা'র স্বভাব জেনেও রহিলি স্ব-ভাবে ডাকিলি না পরবোধে। তা'রে প্রবোধ কেন দিলি নে সই, তোরা তো চিনিস্ হরিরে প্রবোধ কেন দিলি নে সই। (কেন) ডাকিলি না পরবোধে। (হরি) প্রহরী হইয়া রহিত রাধার ঈষৎ অনুরোধে (তা'রে) অনুরোধ কেন করলি নে সই তোরা যে আমার অন্তরাধা অনুরোধ কেন করলি নে সই। তোরা যে রাধার অনুবর্তিনী অনুরোধ কেন করলি নে সই (কেন) ডাকিলি না পরবোধে।।
রাগঃ
তালঃ দাদ্রা
খোল খোল খোল গো দুয়ার। নীল ছাপিয়া এল চাঁদের জোয়ার।। সঙ্কেত-বাঁশরি বনে বনে বাজে মনে মনে বাজে। সজিয়াছে ধরণী অভিসার-সাজে। নাগর-দোলায় দুলে সাগর পাথার।। জেগে ওঠে কাননে ডেকে ওঠে পাখি চোখ গেল, চোখ গেল, চোখ গেল! অসহ রূপের দাহে ঝলসি’ গেল আঁখি, চোখ গেল, চোখ গেল, চোখ গেল! ঘুমন্ত যৌবন, তনু মন, জাগো! সুন্দরী, সুন্দর-পরশন মাগো। চল বিরহিণী অভিসারে বঁধুয়ার।।
রাগঃ আড়ানা
তালঃ কাওয়ালি
শিল্পীঃ জয়শ্রী চৌধুরী ত্রিবেদী
আজি পিয়াল ডালে বাঁধো বাঁধো ঝুলনা। পড় ধানী শাড়ি, মেঘ-রঙ ওড়না।। জলদ-তাল বাজে শ্রাবণ-মেঘে তরুরে জড়ায়ে দোলে বন-লতা পবন বেগে মনের মাঝে দোলে মিলন-বিরহ-দোলনা।। শান্ত আকাশে আজি বেদনা ঘনায় কত কি বলিতে চায় শ্রাবণ-ধারায়, (তার) তবু মনের কথা বলা হ'ল না।। তমাল-কুঞ্জে চল চল দুলিতে, গাহ ঝুলনের গান ব্রজ-বুলিতে, আজি আসে মনে বৃন্দাবনের তুলনা।।
রাগঃ
তালঃ ফের্তা (কাহার্বা ও দ্রুত-দাদ্রা)
মহাকালের কোলে এসে গৌরী হ’ল মহাকালী, শ্মশান–চিতার ভস্ম মেখে ম্লান হ’ল মার রূপের ডালি।। তবু মায়ের রূপ কি হারায় সে যেছড়িয়ে আছে চন্দ্র তারায়, মায়ের রূপের আরতি হয় নিত্য সূর্য–প্রদীপ জ্বালি’ ।। উমা হ’ল ভৈরবী হায় বরণ ক’রে ভৈরবেরে, হেরি’ শিবের শিরে জাহ্নবী রে শ্মশানে মশানে ফেরে। অন্ন দিয়ে ত্রি–জগতে অন্নদা মোর বেড়ায় পথে, ভিক্ষু শিবের অনুরাগে ভিক্ষা মাগে রাজদুলালী।।
রাগঃ দুর্গা
তালঃ তেওড়া