বাণী

এসেছে রে অধর্মের আজ শেষ বিচারের দিন।
	কাপুরুষ মোরা মোদেরি দোষে
	অধর্ম আজ রক্ত শোষে,
আজ সে ক্ষুদ্রে রুদ্র রোষে — করব চরণ-লীন।।

বাণী

ও ভাই হাজি! কোন্ কাবা ঘর হজ করিয়া এলে।
গিয়ে কি ভাই খোদায় পাওয়ার পথের দিশা পেলে।।
খোদার ঘরের দিদার পেয়ে বল কেমন ক’রে
ফিরে এলে দুনিয়াদারীর এই না-পাক ঘরে,
কেউ বলেছে কি কোন্ কাবাতে গেলে খোদায় মেলে।।
খেলেছিলেন নবীজী যে-মক্কা মদিনায়
বেহোঁশ হয়ে পড়নি কি পৌঁছিয়া সেথায়,
কেমন ক’রে ফিরে এলে সেই মদিনা ফেলে
এই দুনিয়ার কারবালাতে অধিক তৃষা আরো
এনেছ কি আব্হায়াতের পানি? দিতে পারো?
মোর আঁধার ঘরে দিতে পারো নূরের চেরাগ জ্বেলে?

বাণী

আজি মনে মনে লাগে হোরি
আজি বনে বনে জাগে হোরি।।
ঝাঁঝর করতাল খরতালে বাজে
বাজে কঙ্কন চুড়ি মৃদুল আওয়াজে
লচকিয়া আসে মুচকিয়া হাসে
প্রেম-উল্লাসে শ্যামল গোরী।।
কদম্ব তমাল রঙে লালে লাল
লাল হলো কৃষ্ঞ ভ্রমর ভ্রমরী
রঙের উজান চলে কালো যমুনা-জলে
আবির রাঙা হলো ময়ূর-ময়ূরী।।
মোর হৃদি-বৃন্দাবন যেন রাঙে
রাধা শ্যাম-যুগল চরণ-রাগে
ও চরণ-ধূলি যেন ফাগ হ’য়ে নিশিদিন
অন্তরে পড়ে মোর ঝরি’।।

বাণী

ব্রজের দুলাল ব্রজে আবার আসবে ফিরে কবে?
জাগবে কি আর ব্রজবাসী ব্যাকুল বেণুর রবে?
	বাজবে নূপুর তমাল-ছায়ায়
	বইবে উজান হৃদ্‌-যমুনায়,
অভাগিনী রাধার কি আর তেমন সুদিন হবে? সখী গো!
গোঠে নাহি যায় রাখালেরা আর লুটায়ে কাঁদে পথের ধূলায়,
ধেনু ছুটে যায় মথুরা পানে না হেরি গোঠে রাখাল-রাজায়।
উড়িয়া গিয়াছে শুক-সারি পাখি শুনি না কৃষ্ণ-কথা (আর),
শ্যাম-সহকার তরুরে না-হেরি শুকালো মাধবী-লতা।
শ্যাম বিনে নাই সে শ্যাম-কান্তি, শুকায়েছে সব।
কদম তমাল তরু পল্লব হাসি উৎসব শুকায়েছে সব। সখি গো —
চির-বসন্ত ছিল যথা আজ সেথা শূন্যতা হাহাকার রবে কাঁদে শ্যাম (হে)
ললিতা বিশাখা নাই, নাই চন্দ্রাবলী নাই ব্রজে শ্রীদাম সুদাম। (সখী গো)

বাণী

		আল্লার নাম জপিও ভাই দিবসে ও রেতে
		সকল কাজের মাঝে রে ভাই তাঁহার রহম পেতে
কোরাস:   	আল্লাহ, আল্লাহ, আল্লাহ, আল্লাহ্, আল্লাহ্ ।।
		হাত করবে কাজ রে ভাই মন জপবে নাম
	ঐ	নাম জপতে লাগে না ভাই টাকা কড়ি দাম,
		নাম জপো ভাই মাঠে ঘাটে হাটের পথে যেতে।
কোরাস:	আল্লাহ, আল্লাহ, আল্লাহ, আল্লাহ্, আল্লাহ্ ।।
	ঐ	আল্লার নাম যদি রে ভাই তুমি থাকো ধ’রে
	ঐ	নামও তোমায় থাকবে ধ’রে দুঃখ বিপদ ঝড়ে,
	ঐ	নামেরে সঙ্গী করো নাইতে শুতে খেতে।
কোরাস:	আল্লাহ, আল্লাহ, আল্লাহ, আল্লাহ্, আল্লাহ্ ।।
		তোমার দেহ মন হবে রে ভাই নূরেতে রওশন
		মাতোয়ারা হও যিকির করো খোদার প্রেমে মেতে।
কোরাস:	আল্লাহ, আল্লাহ, আল্লাহ, আল্লাহ্, আল্লাহ্ ।।

বাণী

অরুণ-কান্তি কে গো যোগী ভিখারি।
নীরবে হেসে দাঁড়াইলে এসে
প্রখর তেজ তব নেহারিতে নারি ॥
রাস-বিলাসিনী আমি আহিরিণী
শ্যামল কিশোর রূপ শুধু চিনি,
অম্বরে হেরি আজ একি জ্যোতিঃপুঞ্জ
হে গিরিজাপতি! কোথা গিরিধারী ॥
সম্বর সম্বর মহিমা তব, হে ব্রজেশ ভৈরব,
		আমি ব্রজবালা।
হে শিব সুন্দর, বাঘছাল পরিহর, ধর নটবর-বেশ
		পর নীপ-মালা।
নব মেঘ-চন্দনে ঢাকি’ অঙ্গজ্যোতি
প্রিয় হয়ে দেখা দাও ত্রিভুবন-পতি
পার্বতী নহি আমি, আমি শ্রীমতী
বিষাণ ফেলিয়া হও বাঁশরি-ধারী ॥