হেমন্তিকা এসো এসো হিমেল শীতল বন-তলে
বাণী
হেমন্তিকা এসো এসো হিমেল শীতল বন-তলে শুভ্র পূজারিণী বেশে কুন্দ-করবী-মালা গলে।। প্রভাত শিশির নীরে নাহি' এসো বলাকার তরণী বাহি' সারস মরাল সাথে গাহি' চরণ রাখি' শতদলে।। ভরা নদীর কূলে কূলে চাহিছে সচকিতা চখি — মানস-সরোবর হ'তে-অলক -লক্ষ্মী এলো কি? আমন ধানের ক্ষেতে জাগে হিল্লোল তব অনুরাগে, তব চরণের রঙ লাগে কুমুদে রাঙা কমলে।।
বনমালার ফুল জোগালি বৃথাই বন-লতা
বাণী
বনমালার ফুল জোগালি বৃথাই বন-লতা বনের ডালায় কুসুম শুকায়, বনমালি কোথা।। শুকনো পাতার গুনে নূপুর চমকে ওঠে বনে ময়ূর, রাস নাই আজ নিরাশ ব্রজে গভীর নীরবতা।। যমুনা-জল উজান বেয়ে কদম-তলে আসি’ ভাটিতে যায় ফিরে, নাহি শু’নে শ্যামের বাঁশি। তমাল-ডালে ঝুলনা আর গোপীরা বাঁধেনি এবার, শ্রাবণ এসে কেঁদে শুধায় ঘনশ্যামের কথা।।
ওরে গো-রাখা রাখাল তুই কোথা হতে এলিরে
বাণী
ওরে গো-রাখা রাখাল তুই কোথা হতে এলিরে আষাঢ় মাসের মেঘের বরণ কেমন ক'রে পেলি রে।। কে দিয়েছে আলতা মেখে পা'য় চলতে গেলে নূপুর বেজে যায় রে; নূপুর বেজে' যায়। তোর আদুল গায়ে বাঁধা কেন গাঁদা রঙের চেলি রে।। তোর ঢলঢলে দুই চোখে যেন নীল শালুকের কুঁড়ি রে তোরে দেখে কেন হাসে যত গোপ-কিশোরী রে। তোর গলার মালার গন্ধে আমার মন গুনগুনিয়ে বেড়ায় রে মৌমাছি যেমন রে; তুই ঘর-সংসার ভুলালি কোন মায়াতে ফেলি' রে।।
বল্ নাহি ভয় নাহি ভয়
বাণী
বল্ নাহি ভয় নাহি ভয়! বল্ মাভৈঃ মাভৈঃ, জয় সত্যের জয়! তুই নির্ভর কর্ আপনার ‘পর আপন পতাকা কাঁধে তুলে ধর্ ওরে যে যায় যাক্ সে, তুই শুধু বল্ ‘আমার হয়নি লয়’! বল্ ‘আমি আছি’, আমি পুরুষোত্তম, আমি চির-দুর্জয়! বল্ মাভৈঃ মাভৈঃ, জয় সত্যের জয়!! যে গেল সে নিজেরে নিঃশেষ করি’ তোদের পাত্র দিয়ে গেল ভরি’! ঐ বন্ধ মৃত্যু পারেনি ক’ তাঁরে পারেনি করিতে লয়! তাই আমাদের মাঝে নিজেরে বিলায়ে সে আজি শান্তিময় বল্ মাভৈঃ মাভৈঃ, জয় সত্যের জয়!! ওরে রুদ্র তখনি ক্ষুদ্রেরে গ্রাসে আগেই যবে সে ম’রে থাকে ত্রাসে ওরে আপনার মাঝে বিধাতা জাগিলে বিশ্বে সে নির্ভয় এই ক্ষুদ্র কারায় কভু কি ভয়াল ভৈরব বাঁধা রয়? বল্ মাভৈঃ মাভৈঃ, জয় সত্যের জয়!! ওরে আত্ম-অবিশ্বাসী, ভয়ে-ভীত! কেন হেন ঘন অবসাদ চিত বল্ পর-বিশ্বাসে পর-মুখপানে চেয়ে কি স্বাধীন হয়? তুই আত্মাকে চিন্, বল আমি আছি,’ ‘সত্য আমার জয়’! বল্ মাভৈঃ মাভৈঃ, জয় সত্যের জয়!!