চল্ চল্ চল্
বাণী
চল্ চল্ চল্। চল্ চল্ চল্। ঊর্ধ্ব গগনে বাজে মাদল নিম্নে উতলা ধরণী-তল অরুণ প্রাতের তরুণ দল চল্ রে চল্ রে চল্ চল্ চল্ চল্।। ঊষার দুয়ারে হানি’ আঘাত আমরা আনিব রাঙা প্রভাত আমরা টুটাব তিমির রাত বাধার বিন্ধ্যাচল। নব নবীনের গাহিয়া গান সজীব করিব মহাশ্মাশান আমরা দানিব নূতন প্রাণ বাহুতে নবীন বল। চল্ রে নও জোয়ান শোন্ রে পাতিয়া কান মৃত্যু-তোরণ-দুয়ারে-দুয়ারে জীবনের আহবান। ভাঙ্ রে ভাঙ্ আগল চল্ রে চল্ রে চল্ চল্ চল্ চল্।।
আল্লাকে যে পাইতে চায়
বাণী
আল্লাকে যে পাইতে চায় হজরতকে ভালবেসে। আরশ্ কুরসি লওহ কালাম, না চাহিতেই পেয়েছে সে।। রসুল নামের রশি ধ’রে যেতে হবে খোদার ঘরে, নদী-তরঙ্গে যে পড়েছে ভাই, দরিয়াতে সে আপনি মেশে।। তর্ক ক’রে দুঃখ ছাড়া কি পেয়েছিস্ অবিশ্বাসী, কি পাওয়া যায় দেখ্ না বারেক হজরতে মোর ভালবাসি’। এই দুনিয়ায় দিবা-রাতি ঈদ্ হবে তোর নিত্য সাথী, তুই যা চাস্ তাই পাবি রে ভাই আহমদ চান যদি হেসে।।
আমি রব না ঘরে
বাণী
আমি রব না ঘরে। ওমা ডেকেছে আমারে হরি বাঁশির স্বরে।। আমি আকাশে শুনি আমি বাতাসে শুনি ওমা নিশিদিন বাঁশরি বাজায় সে গুণী, ওমা তাহারি সুরের সুরধুনী বহে অন্তরে বাহিরে ভুবন ভ’রে।। যবে জাগিয়া থাকি, হেরি’ শ্রীহরির পদ্ম-পলাশ আঁখি। যদি ভুলিয়া কভু আমি ঘুমাই মাগো সে-ঘুম ভেঙে দেয় বলে, জাগো জাগো, সে শয়নে স্বপনে মোর সাধনা গো — আমি নিবেদিতা মাগো তাহারি তরে।।
তুমি প্রভাতের সকরুণ ভৈরবী
বাণী
তুমি প্রভাতের সকরুণ ভৈরবী। শিশির-সজল ভোরের আকাশে ভাসে তোমারি উদাস ছবি।। বিষাদ গভীর কার কল্পনা রূপ ধ’রে তুমি ফের আনমনা, তোমারি মূরতি ধেয়ায় স্বপনে বিরহী সুরের কবি।। তুমি ধরা দিতে যেন আস নাই ধরণীতে, একা-একা খেলা খেল সারাবেলা সাথিহীন তরণীতে। আঘাত হানিয়া সে-কোন্ নিঠুর জাগাবে তোমাতে আশাবরি সুর, পাষাণ টুটিয়া গলিয়া পড়িবে অশ্রুর জাহ্নবী।।