আমার গানের মালা আমি করব কারে দান
বাণী
আমার গানের মালা আমি করব কারে দান মালার ফুলে জড়িয়ে আছে করূণ অভিমান। মালা করব কারে দান।। চোখে মলিন কাজল লেখা কণ্ঠে কাঁদে কুহু কেকা, কপোলে যার অশ্রু-রেখা একা যাহার প্রাণ মালা করব কারে দান।। কাথায় আমার কাঁটার বেদন মালায় সূচির জ্বালা, কণ্ঠে দিতে সাহস না পাই অভিশাপের মালা (ঐ)। বিরহে যার প্রেম-আরতি আঁধার লোকের অরুন্ধতী নাম না জানা সেই তপতী তারি তরে গান মালা করব তারে দান।।
তুমি সুখে থাক প্রিয়া
বাণী
তুমি সুখে থাক প্রিয়া আমি আজ চ’লে যাই। তোমারে চাহিয়া জনমে জনমে এই ব্যথা যেন পাই।। দুদিনের সাথী দু’দিনের লাগি’ এসেছিনু আমি তব অনুরাগী, হৃদয় বাণীতে চেয়েছিনু শুধু আর কিছু চাহি নাই।। আকাশে তব দিয়ে গেনু ফুল কণ্ঠে গানের মালা, হয়তো একদা অন্তরে তব জাগিবে স্মৃতির জ্বালা। হয়তো বা তব নয়নের কোণে নতুনের ছায়া জাগিবে গোপনে, স্মৃতিটি আমার মুছে যাবে জানি তবু কিছু ক্ষতি নাই — এই ব্যথা যেন পাই।।
যবে তুলসীতলায় প্রিয় সন্ধ্যাবেলায়
বাণী
যবে তুলসীতলায় প্রিয় সন্ধ্যাবেলায় তুমি করিবে প্রণাম, তব দেবতার নাম নিতে ভুলিয়া বারেক প্রিয় নিও মোর নাম।। একদা এমনি এক গোধূলি বেলা যেতেছিলে মন্দির-পথে একেলা, জানি না কাহার ভুল তোমার পূজার ফুল আমি লইলাম — সেই দেউলের পথ সেই ফুলেরই শপথ প্রিয়, তুমি ভুলিলে হায় আমি ভুলিলাম।। পথের দুঁধারে সেই কুসুম ফোটে — হায় এরা ভোলেনি, বেঁধেছিলে তরু শাখে লতার যে ডোর হের আজো খোলেনি। একদা যে নীল নভে উঠেছিল চাঁদ ছিল অসীম আকাশ ভরা অনন্ত সাধ, আজি অশ্রু-বাদল সেথা ঝরে অবিরাম।।
ভারতের দুই নয়ন তারা হিন্দু-মুসলমান
বাণী
ভারতের দুই নয়ন তারা হিন্দু-মুসলমান দেশ জননীর সমান প্রিয় যুগল সন্তান।। তাইতো মায়ের কোল নিয়ে ভাই ভা’য়ে ভা’য়ে বাধে লড়াই এই কলহের হবেই হবে মধুর অবসান এক দেশেরই অন্নজলে এক দেহ এক প্রাণ।। আল্লা বলে কোরান তোমায়, এলা বলে বেদ, যেমন পানি, জলে রে ভাই শুধু নামের ভেদ। মোদের মাঝে দেয়াল তুলতে যে চায় জানবে মোদের শত্রু তাহায় (জানবে রে) বিবাদ ক’রে এনেছি হায় অনেক অকল্যাণ মিলনে আজ উঠুক জেগে নব-হিন্দুস্থান। জেগে উঠুক হিন্দুস্থান।।