হেমন্তিকা এসো এসো হিমেল শীতল বন-তলে
বাণী
হেমন্তিকা এসো এসো হিমেল শীতল বন-তলে শুভ্র পূজারিণী বেশে কুন্দ-করবী-মালা গলে।। প্রভাত শিশির নীরে নাহি' এসো বলাকার তরণী বাহি' সারস মরাল সাথে গাহি' চরণ রাখি' শতদলে।। ভরা নদীর কূলে কূলে চাহিছে সচকিতা চখি — মানস-সরোবর হ'তে-অলক -লক্ষ্মী এলো কি? আমন ধানের ক্ষেতে জাগে হিল্লোল তব অনুরাগে, তব চরণের রঙ লাগে কুমুদে রাঙা কমলে।।
কেন মরিতে আসিলাম যমুনায়
বাণী
কেন মরিতে আসিলাম যমুনায়, ললিতা কেন বিপরীত হেরিলাম। কৃষ্ণ-যমুনা-জলে কারে ল’য়ে কুতুহলে জল-খেলা করে ঘনশ্যাম।। কালো মেঘের যেন খেলে বিজলি সোনার-প্রতিমার প্রতিবিম্ব কালো জলে কালো মেঘে যেন খেলে বিজলি। হিরন্ময়ী জ্যোতির্ময়ী সতিনীর রূপ আমি যত দেখি গো তত মজি সখি গো! অতি জ্যোতি গর্বিতা যেন পতি সোহাগিনী সতীসম কে এ সতিনী, ললিতে, মোর শ্যাম অঙ্গে অপরূপ ভঙ্গে আমারই সমুখে করে খেলা, মোরে ছলিতে। ও কি কায়া না ছায়া! ও কি কৃষ্ণ রূপের চঞ্চল জল-তরঙ্গ মায়া? সখি মান ভাঙাতে মোর এসেছিল গোপনে শ্যাম আজি প্রভাতে (সখি), শ্যাম-তনুমুকুরে হেরিলাম বিরাজে গৌর-বর্ণা নারী অপরূপ শোভাতে। এলো অভিমান মনে, তাই মনে হলে যমুনায় ডুবিয়া ললিতা শান্তি যদি পাই। এখানেও দেখি সেই গৌরী কিশোরী আছে শ্যামে জড়ায়ে। (ও কি কায়া না মায়া ও কি কৃষ্ণেরই রঙ্গ না আমারই ছায়া কায়া না মায়া।) কোন্ দেশে যাব সখি কোন্ খানে পাব শ্যামে একাকী। আন-নারীরে ছেড়ে কেবল রাধার হয়ে দেবে না দেখা কি (সখী গো)।।
গীতিচিত্র : ‘অভিমানিনী’