পথিক ওগো চল্তে পথে তোমায় আমায় পথের দেখা। ঐ দেখাতে দুইটি হিয়ায় জাগ্ল প্রেমের গভীর রেখা।। এই যে দেখা শরৎ-শেষে পথের মাঝে অচিন্ দেশে, কে জানে ভাই কখন কে সে চল্ব আবার পথটি একা।। এই যে মোদের একটু চেনার আবছায়াতেই বেদন জাগে ফাগুন হাওয়ার মদির ছোঁওয়া পূবের হাওয়ার কাঁপন লাগে। হয়ত মোদের শেষ দেখা এই এম্নি ক’রে পথের বাঁকেই রইল স্মৃতি চারটি আঁখেই চেনার বেদন নিবি লেখা।।
যদি আমি তোমায় হারাই, তুমি যেয়ো না নাথ হারিয়ে। আমি পথ হারালে ধ’রো আমায় আঁধারে হাত বাড়িয়ে।।১ ঝড়-বাদলে নিশীথ-রাতে লুকিয়ে চ’লো আমার সাথে, ফুলের কাছে নিয়ে যেয়ো কাঁটার বাধা ছাড়িয়ে।। তোমায় দেওয়া এ প্রাণ যদি অন্যে চাহি দানিতে, তুমি যেন ‘না’ বোলো না কঠোর আঘাত হানিতে। চঞ্চল মোর চিত্ত যেন তোমার পায়ে টেনে এনো তোমার পূজা শিখায়ো নাথ তুমিই পাশে দাঁড়িয়ে।।
১. অন্ধকারে ধরো আমায় সহসা হাত বাড়িয়ে।।
আমি বাঁধন যত খুলিতে চাই জড়িয়ে পড়ি তত। শুভদিন এলো না দিনে দিনে দিন হল হায় গত।। শত দুঃখ অভাব নিয়ে জগৎ আছে জাল বিছিয়ে অসহায় এ পরান কাঁদে জালে মীনের মত।। বোঝা যত কমাতে চাই ততই বাড়ে বোঝা, শান্তি কবে পাব কবে চল্ব হয়ে সোজা। দাও ব’লে হে জগৎ-স্বামী মুক্তি কবে পাব আমি? কবে উঠবে ফুটে জীবন আমার ভোরের ফুলের মত।।
(তুই) মা হ’বি না মেয়ে হ’বি দে মা উমা ব’লে তুই আমারে কোল্ দিবি, না আমিই নেব কোলে।। মা হয়ে তুই মা গো আমার, নিবি কি মোর সংসার-ভার। দিন ফুরালে আসব ছুটে, মা তোর চরণ-তলে। (তুই) মুছিয়ে দিবি দুঃখ-জ্বালা, তোর স্নেহ-অঞ্চলে।। এক হাতে মোর পূজার থালা ভক্তি-শতদল। (ও মা) আর এক হাতে ক্ষীর নবনী, কি নিবি তুই বল্। ওমা কি নিবি তুই বল্। মেয়ে হ’য়ে মুক্ত কেশে, খেল্বি ঘরে হেসে হেসে, ডাকলে মা তুই ছুটে এসে, জড়াবি মোর গলে। (তোরে) বক্ষে ধ’রে শিব-লোকে যাব আমি চলে।।
মাধব বংশীধারী বনওয়ারী গোঠ-চারী গোবিন্দ কৃষ্ণ মুরারী। গোবিন্দ কৃষ্ণ মুরারি হে পাপ-তাপ-দুখ-হারী।। কালরূপ কভু দৈত্য-নিধনে, চিকন কালা কভু বিহর বনে, কভু বাজাও বেণু, খেল ধেনু-সনে, কভু বামে রাধা প্যারী, গোপ-নারী মনোহারি, নিকুঞ্জ-লীলা-বিহারী।। কুরুক্ষেত্র-রণে পান্ডব-মিতা, কন্ঠে অভয়বাণী ভগবদ্-গীতা, পূর্ণ ভগবান পরম পিতা, শঙ্খ-চক্র-গদাধারী, পাপ-তারী, কান্ডারি ত্রিভুবন সৃজনকারী।।
