বাণী
এ কি এ মধু শ্যাম-বিরহে। হৃদি-বৃন্দাবনে নিতি রসধারা বহে।। গভীর বেদনা মাঝে শ্যাম-নাম-বীনা বাজে প্রেমে মন মোহে যত ব্যথায় প্রাণ দহে।।
রাগ ও তাল
রাগঃ বৃন্দাবনী সারং
তালঃ ত্রিতাল
চুড়ি কিঙ্কিনী রিনি রিন ঝিনি বীণ বাজায়ে চলে শুনি নদীর নীল জলে জোয়ার উথলে।। বাজে পায়ে পাঁইজোর ঘুঙুর ঝুমুর ঝুমুর গাহে পাপিয়া পিয়া পিয়া শুনি সে সুর শত পরান হতে চায় ঐ চরণে নূপুর হৃদি হতে চায় চাবি তাহার আঁচলে।। পথিকে বধিতে কি নদীতে সে জলকে যায় ছল চল বলি তাহার কলসিতে জল ছ’লকে যায় কাজল-ঘন চোখে বিজলি জ্বালা ঝলকে যায় মন-পতঙ্গ ধায় ঐ আঁখির অনলে শুনি নদীর নীল জলে জোয়ার উথলে।।
রাগঃ
তালঃ দাদ্রা
ঈদ মোবারক ঈদ মোবারক দোস্ত ও দুশমন পর ও আপন সবার মহল আজ হউক রওনক।। যে আছ দূরে যে আছ কাছে, সবারে আজ মোর সালাম পৌঁছে। সবারে আজ মোর পরান যাচে সবারে জানাই এ দিল আশ্ক।। এ দিল যাহা কিছু সদাই চাহে দিলাম যাকাত খোদার রাহে মিলিয়া ফকির শাহান্শাহে এ ঈদগাহে গাহুক ইয়াহক্। এনেছি শিরনি প্রেম পিয়ালার এসো হে মোমিন কর হে ইফতার প্রেমের বাঁধনে কর গেরেফ্তার খোদার রহম নামিবে বেশক্।।
রাগঃ
তালঃ কাহার্বা
গোঠের রাখাল, বলে দে রে কোথায় বৃন্দাবন। (যথা) রাখাল–রাজা গোপাল আমার খেলে অনুক্ষণ।। (যথা) দিনে রাতে মিলন–রাসে চাঁদ হাসে রে চাঁদের পাশে, (যা’র) পথের ধূলায় ছড়িয়ে আছে শ্রীহরি–চন্দন।। (যথা) কৃষ্ণ–নামের ঢেউ ওঠে রে সুনীল যমুনায়, (যা’র) তমাল–বনে আজো মধুর কানুর নূপুর শোনা যায়। আজো যাহার কদম ডালে বেণু বাজে সাঁঝ–সকালে, নিত্য লীলা করে যথা মদন–মোহন।।
রাগঃ
তালঃ ত্রিতাল
আসে রজনী, সন্ধ্যামণির প্রদীপ জ্বলে ছায়া-আঁচল-ঢাকা কানন-তলে।। তিমির দু’ কূল দুলে গগনে, গোধূলি-ধূসর সাঁঝ-পবনে তারার মানিক অলকে ঝলে।। পূজা আরতি লয়ে চাঁদের থালায় আসিল সে অস্ত-তোরণ নিরালায়। ললাটের টিপ্ জ্বলে সন্ধ্যা-তারা গিরি-দরি বনে ফেরে আপন-হারা থামে ধীরে ধীরে বিরহীর নয়ন-জলে।।
রাগঃ পিলু
তালঃ কাহার্বা
পুরুষ : এলে তুমি কে, কে ওগো তরুণা অরুণা করুণা সল চোখে। স্ত্রী : আমি তব মনের বনের পথে ঝিরি ঝিরি গিরি-নির্ঝরিণী আমি যৌবন-উন্মনা হরিণী মানসলোকে।। পুরুষ : ভেসে যাওয়া মেঘের সজল ছায়া ক্ষণিক মায়া তুমি প্রিয়া স্বপনে আসি' বাজায়ে বাঁশি স্বপনে যাও মিশাইয়া। স্ত্রী : বাহুর বাঁধনে দিই না ধরা — আমি স্বপন-স্বয়ম্বরা সঙ্গীতে জাগাই ইঙ্গিতে ফোটাই তোমার প্রেমের যুঁই-কোরকে। পুরুষ : আধেক প্রকাশ স্ত্রী : আধেক গোপন পুরুষ : আধো জাগরণ স্ত্রী : আধেক স্বপন উভয়ে : খেলিব খেলা ছায়া-আলোকে।।
রাগঃ
তালঃ কাহার্বা