ভালোবাসায় বাঁধব বাসা
বাণী
উভয়ে : ভালোবাসায় বাঁধব বাসা আমরা দু'টি মাণিক-জোড়। থাকব বাঁধা পাখায় পাখায় মাখামাখি প্রেম-বিভোর।। পুরুষ : আমার বুকে যত মধু স্ত্রী : আমার বুকে ঢালবে বঁধু পুরুষ : আমি কাঁদব যখন দুখে স্ত্রী : আমি মুছাব সে নয়ন-লোর।। পুরুষ : আমি যদি কভু মনের ভুলে তোমায় প্রিয় থাকি ভুলে, স্ত্রী : আমি রইব তাতেই ফুলের মালায় লুকিয়ে যেমন থাকে ডোর। উভয়ে : মোরা নীল গগনের নীল স্বপনে চির-কালের চাঁদ-চকোর।।
মৃত্যু-আহত দয়িতের তব শোনো
বাণী
মৃত্যু-আহত দয়িতের তব শোনো করুণ মিনতি। অমৃতময়ী মৃত্যুঞ্জয়ী হে সাবিত্রী সতী।। ঘন অরণ্যে বাজে মোর স্বর মোরি রোদনে উঠিয়াছে ঝড়, সাঁঝের চিতায় ঐ নিভে যায়, মম নয়নের জ্যোতি হে সাবিত্রী সতী! যুগে যুগে তুমি বাঁচায়েছ মোরে মৃত্যুর হাত হতে দেবী সাবিত্রী সতী! মোরি হাত ধ’রে রাজপুরী ছেড়ে চলেছ বনের পথে বিধবা অশ্রুমতী! জীবনের তৃষা মেটেনি আমার তুমি এসে মোরে বাঁচাও আবার, মৃত্যু তোমারে করিবে প্রণাম, ধরার অরুন্ধতি হে সাবিত্রী সতী!
বাঁশি কে বাজায় বনে আমি চিনি
বাণী
বাঁশি কে বাজায় বনে আমি চিনি আমি চিনি, কলসে কাঁকন চুড়ি তাল দিয়ে কয় গো রিনিঝিনি। আমি চিনি আমি চিনি।। বুঝি গো বন পাপিয়া তারেই দেখে ‘চোখ গেল, চোখ গেল’ বলে উঠে ডেকে। ও বাঁশি বাজলে ‘জলে যাসনে’, (ও বৌ যাস্নে) বলে ‘ননদিনী’ ‘ননদিনী’।আমি চিনি আমি চিনি।। মোর সেই বাঁশুরিয়ায় চেনে পাড়ার পড়শিরা চেনে তায় যায় যমুনায় গো যত প্রেমের গরবীরা। সে যে মোর ঘর জ্বালানো পর ভুলানো আমার কালো বরণ গো, তমালের ডাল দুলানো। মন কয় আমায় নিয়ে গো সেই ত খেলে ছিনিমিনি।।