বাণী

নতুন নেশার আমার এ মদ বল কি নাম দেবো এরে বঁধুয়া।
গোপী চন্দন গন্ধ মুখে এর বরণ সোনার চাঁদ চুঁয়া।।
	মধু হ'তে মিঠে পিয়ে আমার মদ
	গোধূলি রং ধরে কাজল নীরদ,
প্রিয়েরে প্রিয়তম করে এ মদ মম, চোখে লাগায় নভোনীল ছোঁওয়া।।
	ঝিম্ হয়ে আসে সুখে জীবন ছেয়ে,
	পান্‌সে জোছনাতে পান্‌সি চলে বেয়ে,
মধুর এ মদ নববধূর চেয়ে আমার মিতালী এ মহুয়া।। 

বাণী

আয় নেচে নেচে আয় রে বুকে দুলালীমোর কালো মেয়ে
দগ্ধ দিনেরবুকে যেমন আসে শীতল আঁধার ছেয়ে।।
	আমার হৃদয়-আঙিনাতে
	খেলবি মা তুই দিনে রাতে
মোর সকল দেহ নয়ন হয়ে দেখবে মা তাই চেয়ে চেয়ে।।
হাত ধরে মোর নিয়ে যাবি তোর খেলাঘর দেখবি মা
এইটুকু তুই মেয়ে আমার কেমন করে হ’স অসীমা।
	লুটে নিবি চতুর্ভূজা
	আমার স্নেহ প্রেম-পূজা
(মা) নাম ধরে তোর ডাকব মা যেই যেথায় থাকিস আসবি ধেয়ে।।

বাণী

ফুলে পুছিনু, বল, বল ওরে ফুল!
কোথা পেলি এ সুরভি, রূপ এ অতুল?
‌'যার রূপে উজালা দুনিয়া, কহে গুল,
দিল সেই মোরে এই রূপ এই খোশবু।
		আল্লাহু আল্লাহু।।
'ওরে কোকিল, কে তোরে দিল এ সুর,
কোথা পেলি পাপিয়া এ কন্ঠ মধুর?
কহে কোকিল পাপিয়া, আল্লাহ গফুর,
তাঁরি নাম গাহি 'পিউ পিউ' কুহু কুহু —
		আল্লাহু আল্লাহু।।
'ওরে রবি-শশী, ওরে গ্রহ-তারা
কোথা পেলি এ রওশনী জ্যোতি ধারা?'
কহে, আমরা তাহারি রূপের ইশারা
মুসা, বেহুঁশ হলো হেরি' যে খুবরু
		আল্লাহু আল্লাহু।।
যারে আউলিয়া আম্বিয়া ধ্যানে না পায়
কূল-মখলুক যাঁহার মহিমা গায়,
যে নাম নিয়ে এসেছি এইদুনিয়ায়,
নাম নিতে নিতে মরি এই আরজু
		আল্লাহু আল্লাহু।।

বাণী

হে নিঠুর ! তোমাতে নাই আশার আলো।
তাই কি তোমার রূপ কৃষ্ণ কালো।।
তুমি ত্রিভঙ্গ তাই তব সকলি বাঁকা
চোখে তব কাজলের ছলনা মাখা।
নিষাদের হাতে বাঁশি সেজেছে ভালো।।

নাটকঃ ‘বিদ্যাপতি’

বাণী

কোয়েলা কুহু কুহু ডাকে।
নব মুকুলিত আমের শাখে।।
	যাহার দরশ লাগি’
	একেলা কুটীরে জাগি,
মোর সাথে পাখিও কি ডাকিছে তাহাকে।।
চাঁদিনী নিভে যায় আমার চোখে,
চাঁদে মনে পড়ে চাঁদের আলোকে।
	কুহু স্বর প্রাণে মম
	বাজিতেছে তার সম,
চাঁদিনী নিশীথ মোর বিষাদ-মেঘে ঢাকে।।

বাণী

আমি মৃতের দেশে এনেছি রে মাতৃ নামের গঙ্গা ধারা।
আয় রে নেয়ে শুদ্ধ হবি অনুতাপে মলিন যারা।।
	আয় আশাহীন ভাগ্য হত
	শক্তি-বিহীন পদানত,
	(আয় রে সবাই আয়),
এই অমৃতে, আয়, উঠ্‌বি বেঁচে জীবন্মৃত সর্বহারা।।
	ওরে এই শক্তির গঙ্গা-স্রোতে
	অনেক আগে এই সে-দেশে,
মৃত সগর-বংশ বেঁচে উঠেছিল এক নিমেষে।
	এই গঙ্গোত্রীর পরশ লেগে
	নবীন ভারত উঠ্ল জেগে,
এই পুণ্য স্রোত ভেঙেছিল ভেদবিভেদের লক্ষ কারা।।