ফুলে পুছিনু বল বল ওরে ফুল
বাণী
ফুলে পুছিনু, বল, বল ওরে ফুল! কোথা পেলি এ সুরভি, রূপ এ অতুল? 'যার রূপে উজালা দুনিয়া, কহে গুল, দিল সেই মোরে এই রূপ এই খোশবু। আল্লাহু আল্লাহু।। 'ওরে কোকিল, কে তোরে দিল এ সুর, কোথা পেলি পাপিয়া এ কন্ঠ মধুর? কহে কোকিল পাপিয়া, আল্লাহ গফুর, তাঁরি নাম গাহি 'পিউ পিউ' কুহু কুহু — আল্লাহু আল্লাহু।। 'ওরে রবি-শশী, ওরে গ্রহ-তারা কোথা পেলি এ রওশনী জ্যোতি ধারা?' কহে, আমরা তাহারি রূপের ইশারা মুসা, বেহুঁশ হলো হেরি' যে খুবরু আল্লাহু আল্লাহু।। যারে আউলিয়া আম্বিয়া ধ্যানে না পায় কূল-মখলুক যাঁহার মহিমা গায়, যে নাম নিয়ে এসেছি এইদুনিয়ায়, নাম নিতে নিতে মরি এই আরজু আল্লাহু আল্লাহু।।
পেয়ে আমি হারায়েছি গো
বাণী
পেয়ে আমি হারায়েছি গো আমার বুকের হারামণি। গানের প্রদীপ জ্বেলে তা’রেই খুঁজে ফিরি দিন-রজনী।। সে ছিল গো মধ্যমণি আমার মনের মণি-মালায়, রেখেছিলাম লুকিয়ে তায়, মানিক যেমন রাখে ফণী।। স্নিগ্ধ জ্যোতি নিয়ে সে মোর এসেছিল দগ্ধ বুকে, অসীম আঁধার হাত্ড়ে ফিরি খুঁজি তারি রূপ-লাবণি।। হারিয়ে যে যায় হায় কেন সে যায় হারিয়ে চিরতরে, মিলন-বেলাভুমে বাজে বিরহেরই রোদন-ধ্বনি।।
সোনার আলোর ঢেউ খেলে যায়
বাণী
সোনার আলোর ঢেউ খেলে যায় মাঠের ঘাসে ঘাসে। বাউল হাওয়ায় কানাকানি মা বুঝি ঐ আসে॥ কাশের চামর নদীর চরে প্রণাম হয়ে লুটিয়ে পড়ে আনন্দেরি জোয়ার এলো ভোরের নীলাকাশে। মোদের মা জননী আসে॥ বেণু বনের মর্মরে আজ বাজে ছুটির বাঁশি বরষ পরে ঘরে ফিরে এলো পরবাসী। দুঃখী ছেলেমেয়ের মুখে হাসির আলো ফুটল সুখে আগমনীর আনন্দে আজ কুসুম হয়ে হাসে॥
যারে হাত দিয়ে মালা দিতে
বাণী
যারে হাত দিয়ে মালা দিতে পারো নাই কেন মনে রাখো তা’রে। ভুলে যাও মোরে১ ভুলে যাও একেবারে।। আমি গান গাহি আপনার দুখে তুমি কেন আসি’ দাঁড়াও সুমুখে, আলেয়ার মত ডাকিও না আর নিশীথ –অন্ধকারে।। দয়া কর, মোরে দয়া কর, আর আমারে লইয়া খেলো না নিঠুর খেলা, শত কাঁদিলেও ফিরিবে না প্রিয় শুভ লগনের বেলা। আমি ফিরি পথে, তাহে কার ক্ষতি তব চোখে কেন সজল মিনতি, আমি কি ভুলেও কোনোদিন এসে’ দাঁড়ায়েছি তব দ্বারে।।
১. তারে
গীতিচিত্র: অতনুর দেশ