বাণী

আল্লার নাম মুখে যাহার বুকে আল্লার নাম।
এই দুনিয়াতেই পেয়েছে সে বেহেশ্‌তের আরাম।।
সে সংসারকে ভয় করে না নাই মৃত্যুর ডর
দুনিয়াকে শোনায় শুধু আনন্দেরি খবর
দিবানিশি পান করে সে কওসরেরি জাম —
		পান করে কওসরেরি জাম।।

ইসলামী নক্সা : ‘আল্লার রহম’

বাণী

গভীর রাতে জাগি’ খুঁজি তোমারে।
দূর গগনে প্রিয় তিমির–‘পারে।।
জেগে যবে দেখি বঁধু তুমি নাই কাছে
আঙিনায় ফুটে’ ফুল ঝ’রে পড়ে আছে,
বাণ–বেঁধা পাখি সম আহত এ প্রাণ মম —
লুটায়ে লুটায়ে কাঁদে অন্ধকারে।।
মৌনা নিঝুম ধরা, ঘুমায়েছে সবে,
এসো প্রিয়, এই বেলা বক্ষে নীরবে।
কত কথা কাঁটা হ’য়ে বুকে আছে বিঁধে
কত আভিমান কত জ্বালা এই হৃদে,
দেখে যাও এসো প্রিয় কত সাধ ঝ’রে গেল —
কত আশা ম’রে গেল হাহাকারে।।

১. দেখিবে এসো প্রিয়

বাণী

ওগো	দেবতা তোমার পায়ে গিয়াছিনু ফুল দিতে
মোর	মন চুরি ক’রে নিলে কেন তুমি অলখিতে।।
আজি	ফুল দিতে শ্রীচরণে
মম	হাত কাঁপে ক্ষণে;
কেন	প্রণাম করিতে গিয়া- প্রিয় সাধ জাগে পরশিতে।।
তুমি	দেবতা যে মন্দিরে- কাছে এলে যাই ভুলে
বঁধু	আমি দীন দেবদাসী কেন তুমি মোরে ছুঁলে।
		তুমি কাছে এলে যাই ভুলে।
আমি	হাতে আনি হেমঝারি’,
তুমি	কেন চাহ আঁখি-বারি;
আমি	পূজা-অঞ্জলি আনি, তুমি কেন চাহ মালা নিতে।।

বাণী

ঐ হের রসুলে খোদা এলো ঐ।।
গেলেন মদিনা যবে হিজরতে হজরত
মদিনা হলো যেন খুশিতে জিন্নত,
ছুটিয়া আসিল পথে মর্দ ও আওরত
লুটায়ে পায়ে নবীর, গাহে সব উম্মত
ঐ হের রসুলে-খোদা এলো ঐ।।
হাজার সে কাফের সেনা বদরে,
তিন শত তের মমিন এধারে;
হজরতে দেখিল যেই, কাঁপিয়া ডরে
কহিল কাফের সব তাজিমের স্বরে
ঐ হের রসুলে-খোদা এলো ঐ।।
কাঁদিয়া কেয়ামতে গুনাহগার সব,
নবীর কাছে শাফায়তী করিবেন তলব,
আসিবেন কাঁদন শুনি সেই শাহে আরব
অমনি উঠিবে সেথা খুশির কলরব
ঐ হের রসুলে খোদা এলো ঐ।।

বাণী

মৌন আরতি তব বাজে নিশিদিন
ত্রিভুবন মাঝে প্রভু বানী-বিহীন।।
সম্ভ্রমে-শ্রদ্ধায় গ্রহ-তারা দল
স্থির হয়ে রয় অপলক অচপল,
ধ্যান-মৌনী মহাযোগী অটল
আপন মহিমায় তুমি সমাসীন।।
মৌন সে সিন্ধুতে জলবিম্বের প্রায়
বাণী ও সঙ্গীত যায় হারাইয়া যায়।
বিস্ময়ে অনিমেষ আঁখি চেয়ে রয়
তব পানে অনন্ত সৃষ্টি-প্রলয়,
তব ধ্রুব-লোকে, হে চির অক্ষয়,
সকল ছন্দ-গতি হইয়াছে লীন।।

বাণী

দু’হাতে ফুল ছড়ায়ে মন রাঙায়ে ধরায় আসি।
প্রথম যৌবনেরই ঘুম ভাঙাতে বাজাই বাঁশি।।
আমি কই, দেখরে চেয়ে, নেইরে জরা
আজিও চির নূতন — সেই পুরাতন বসুন্ধরা,
মাধবী চাঁদের চোখে আঁকা আজো বাঁকা হাসি।।
ফুটাই আশার কোলে শুকনো ডালে
অবসাদ আসে যবে সাধ ফুরালে,
আমি কই, এই ত’ সুরাপাত্র-পুরা রস-পিয়াসী।।

নাটক : ‘হরপার্বতী’ (কন্দর্পের গান)