মোরে ভালোবাসায় ভুলিয়ো না
বাণী
মোরে ভালোবাসায় ভুলিয়ো না পাওয়ার আশায় ভুলিয়ো মোরে আদর দিয়ে দুলিয়ো না আঘাত দিয়ে দুলিয়ো।। হে প্রিয় মোর একি মোহ এ প্রাণ শুধু চায় বিরহ তুমি কঠিন সুরে বেঁধে আমায় সুরের লহর তুলিয়ো।। প্রভু শান্তি চাহে জুড়াতে সব আমি চাহি পুড়িতে সুখের ঘরে আগুন জ্বেলে’ পথে পথে ঝুরিতে; বঁধু পথে পথে ঝুরিতে। নগ্ন দিনের আলোকেতে চাহি না তোমায় ব’ক্ষে পেতে তুমি ঘুমের মাঝে স্বপনেতে হৃদয়–দুয়ার খুলিয়ো।।
আমার মানস-বনে ফুটেছে রে
বাণী
আমার মানস-বনে ফুটেছে রে শ্যামা-লতার মঞ্জরি। সেই মঞ্জু-বনে ফির্ছে রে তাই ভক্তি-ভ্রমর গুঞ্জরি।। সেথা আনন্দে দেয় করতালি প্রেমের কিশোর বনমালী, সেই লতামূলে শিবের জটার গঙ্গা ঝরে ঝর্ঝরি।। কোটি তরু শাখা মেলি’ এই সে-লতার স্পর্শ চায়, শিরে ধ’রে ধন্য হ’তে এই শ্যামারই শ্যাম শোভায়। এই লতারই ফুল-সুবাসে কোটি চন্দ্র সূর্য আসে১ নীল আকাশে, এই লতার ছায়ায় প্রাণ জুড়াতে ত্রিলোক আছে প্রাণ ধরি’।।
১. হাসে
মাতৃ নামের হোমের শিখা
বাণী
মাতৃ নামের হোমের শিখা আমার বুকে কে জ্বালালো সেই শিখা আজ হরবে যেন মা ত্রিজগতের আঁধার কালো।। আজ মনে হয় দিবস যামী অমৃতেরই পুত্র আমি মা আনন্দময় হল ত্রিলোক যেদিকে চাই কেবল আলো।। সূর্য যেমন জানে না, তার আলোয় কত জগৎ জাগে, বিকার-বিহীন তেমনি আমি, জ্বলি নামের অনুরাগে। হয়তো আমার আলো লেগে নতুন সৃষ্টি উঠবে জেগে, তাই কি বিপুল আকর্ষণে সবারে চাই বাস্তে ভালো।।
কৃষ্ণা নিশীথ নাচে ঝিল্লির নূপুর
বাণী
কৃষ্ণা নিশীথ নাচে ঝিল্লির নূপুর বাজে। রিমিঝিমি রিমিঝিমি মৃদু আওয়াজে।। আঁধারের চাঁচর চিকুর খুলিয়া আপন মনে নাচে হেলিয়া দুলিয়া, মুঠি মুঠি হিম-কণা তারা-ফুল তুলিয়া ছুঁড়ে ফেলে ধরণী মাঝে।। তার মণি-হার খুলে পড়ে উল্কা-মানিক, তার নাচের নেশায় ঝিমায় দশ্দিক। আধো-রাতে আমি শুনি স্বপনে তার গুঞ্জন-গীত কানে-কথা গোপনে, কালো-রূপের শিখা, ওকি শ্যামা বালিকা নাচে নাচে জাগাইতে নটরাজে।।