বাণী

মনে রাখার দিন গিয়েছে এখন ভোলার বেলা
আর লাগে না ভালো আমার হৃদয় নিয়ে খেলা।।
	লগ্ন ছিল ছিল সময়
	পরান ভরা চিল প্রণয়,
সেদিন যদি আসতে মলয় বসতো ফুলের মেলা।।
সুকুমার সুন্দর যাহা চিল আমার মাঝে
গেছে ম'রে নিরাশাতে ঝ'রে গেছে লাজে।
	আজ উদাসীন শূন্য মনে
	ঘুরে বেড়াই অকারণে
তোমার চেয়েও আমি আমায় হানি অবহেলা।।

বাণী

ঝর ঝর বারি ঝরে অম্বর ব্যাপিয়া
এসো এসো মেঘমালা প্রিয়া প্রিয়া।।
দূরে থেকো না এই শ্রাবণ নিশীথে
কাঁদে তব তরে পিয়াসি হিয়া।।
বিজলি খুঁজে ফেরে সুদূর আকাশে
হৃদয়ে কাঁদে প্রেম পাপিয়া পিয়া।।

বাণী

		তোমায় কূলে তুলে বন্ধু আমি নামলাম জলে।
আমি		কাঁটা হয়ে রই নাই বন্ধু তোমার পথের তলে॥
আমি		তোমায় ফুল দিয়েছি কন্যা তোমার বন্ধুর লাগি’
		যদি আমার শ্বাসে শুকায় সে ফুল তাই হলাম বিবাগী।
		আমি বুকের তলায় রাখি তোমায় গো, ওরে শুকায়নি ক’ গলে॥
(ওই)		যে-দেশ তোমার ঘর্‌ রে বন্ধু সে দেশ হতে এসে,
আমার	দুখের তরী দিছি ছেড়ে, (বন্ধু) চলতেছে সে ভেসে।
এখন		যে-পথে নাই তুমি বন্ধু গো, তরী সেই পথে মোর চলে॥

বাণী

তওফিক দাও খোদা ইসলামে মুসলিম-জাঁহা পুনঃ হোক আবাদ।
দাও সেই হারানো সালতানাত দাও সেই বাহু সেই দিল আজাদ।।
দাও সেই হামজা সেই বীর ওলীদ
দাও সেই উমর হারুন অল রশীদ
দাও সেই সালাহউদ্দীন আবার পাপ দুনিয়াতে চলুক জেহাদ।।
দাও সে রুমী সাদী হাফিজ
সেই জামী খৈয়াম সে তবরিজ
দাও সে আকবর সেই শাহজাহান দাও তাজমহলের স্বপ্ন সাধ।।
দাও ভা'য়ে ভা'য়ে সেই মিলন
সেই স্বার্থত্যাগ সেই দৃপ্ত মন,
হোক বিশ্ব-মুসলিম এক জামাত উড়ুক নিশান ফের যুক্ত চাঁদ।।

বাণী

কেন দিলে এ কাঁটা যদি গো কুসুম দিলে
ফুটিত না কি কমল ও কাঁটা না বিঁধিলে।।
	কেন এ আঁখি-কূলে
	বিধুর অশ্রু দুলে
কেন দিলে এ হৃদি যদি না হৃদয় মিলে।।
	কেন কামনা-ফাঁদে
	রূপ-পিপাসা কাঁদে
শোভিত না কি কপোল ও কালো তিল নহিলে।।
	কাঁটা-নিকুঞ্জে কবি
	এঁকে যা সুখের ছবি
নিজে তুই গোপন রবি তোরি আঁখির সলিলে।।

বাণী

যখন আমার কুসুম ঝরার বেলা তখন তুমি এলে
ভাটির স্রোতে ভাসলো যখন ভেলা পারের পথিক এলে।।
	আঁধার যখন ছাইল বনতল
	পথ হারিয়ে এলে হে চঞ্চল
দীপ নিভাতে এলে হে বাদল ঝড়ের পাখা মেলে।।
শূন্য যখন নিবেদনের থালা তখন তুমি এলে
শুকিয়ে যখন ঝরল বরণ-মালা তখন তুমি এলে।
	নিরশ্রু এই নয়ন পাতে
	শেষ পূজা মোর আজকে রাতে
নিবু নিবু প্রাণ শিখাতে আরতি দীপ জ্বেলে।।