তুমি আনন্দ ঘনশ্যাম আমি প্রেম-পাগলিনী রাধা
বাণী
তুমি আনন্দ ঘনশ্যাম আমি প্রেম-পাগলিনী রাধা। তব ডাক শুনে ছুটে যাই বনে আমি না মানি কুলের বাধা।। শূন্য প্রাণের গাগরি ঘিরে নিতি আসি রস-যমুনার তীরে অঙ্গ ভাসায়ে তরঙ্গ-নীরে শুনি তব বাঁশি সাধা।। যুগ-যুগান্ত অনন্ত কাল হৃদয়-বৃন্দাবনে তোমাতে আমাতে এই লীলা, নাথ! চলেছে, সঙ্গোপনে। মোর সাথে কাঁদে প্রেম-বিগলিতা ভক্তি ও প্রীতি বিশাখা-ললিতা। তোমারে যে চায়, মোর মতো, হায়! সার শুধু তার কাঁদা।।
পথে কি দেখলে যেতে আমার
বাণী
পথে কি দেখলে যেতে আমার গৌর দেবতারে। যা’রে কোল যায় না দেওয়া, কোল দেয় সে ডেকে তারে।। নবীন সন্ন্যাসী সে রূপে তার পাগল করে আঁখির ঝিনুকে তা’র অবিরল মুক্তা ঝরে। কেঁদে সে কৃষ্ণের প্রেম ভিক্ষা মাগে দ্বারে দ্বারে।। জগতের জগাই-মাধাই মগ্ন যারা পাপের পাঁকে সকলের পাপ নিয়ে সে সোনার গৌর-অঙ্গে মাখে। উদার বক্ষে তাহার ঠাঁই দেয় সকল জাতে দেখেছ প্রেমের ঠাকুর সচল জগন্নাথে? একবার বললে হরি যায় নিয়ে সে ভবপারে।।
অনেক ছিল বলার যদি সেদিন
বাণী
অনেক ছিল বলার, যদি সেদিন ভালোবাস্তে গো। পথ ছিল গো চলার, যদি দু’দিন আগে আস্তে গো।। আজিকে মহাসাগর–স্রোতে, চলেছি দূর পারের পথে ঝরা–পাতা হারায় যথা, সেই আঁধারে ভাস্তে গো।। গহন রাতি ডাকে আমায় এলে তুমি আজ্কে কাঁদিয়ে গেলে হায় গো আমার বিদায়–বেলার সাঁঝ্কে। আস্তে যদি হে অতিথি ছিল যখন শুক্লা তিথি ফুটত চাঁপা, সেদিন যদি চৈতালী–চাঁদ হাস্তে।।
সেদিন প্রভাতে অরুণ শোভাতে
বাণী
সেদিন প্রভাতে অরুণ শোভাতে হেসেছ বুকে মোর মধু-হাসিনী। পরেছ গলায় আমার দেওয়া ফুল সে কি গো সবি ভুল বিজন-বাসিনী।। যেচেছ কত না আদর সোহাগ ক্ষণে অভিমান ক্ষণে অনুরাগ, কত প্রিয় নামে ডেকেছ আমায় সে কি গো গেছ ভুলে মধুভাষিণী।। আমার সাধ-আশ-সাধনা-সুখ-হাসি তোমার সনে প্রিয় সকলি গেছে ভাসি, কেন ফেলে দিলে নিরাশার কূলে, কোন্ অপরাধে বল উদাসিনী।।
যে আল্লার কথা শোনে
বাণী
যে আল্লার কথা শোনে তারি কথা শোনে লোকে। আল্লার নূর যে দেখেছে পথ পায় লোক তার আলোকে।। যে আপনার হাত দেয় আল্লায় জুল্ফিকারের তেজ সে পায়, যার চোখে আছে খোদার জ্যোতি রাত্রি পোহায় তারি চোখে।। ভোগের তৃষ্ণা মিটেছে যার খোদার প্রেমের শিরনি পেয়ে, যায় বাদ্শা-নবাব গোলাম হ'য়ে সেই ফকিরের কাছে যেয়ে। আসে সেই কওমের ইমাম সেজে কওমকে পেয়েছে যে, তারি কাছে খোদার দেওয়া শান্তি আছে দুখে-শোকে।।