তুমি আমার সকাল বেলার সুর
বাণী
তুমি আমার সকাল বেলার সুর হৃদয় অলস–উদাস–করা অশ্রু ভারাতুর।। ভোরের তারার মত তোমার সজল চাওয়ায়, ভালোবাসার চেয়ে সে যে কান্না পাওয়ায় রাত্রি–শেষের চাঁদ তুমি গো বিদায়–বিধুর।। তুমি আমার ভোরের ঝরা ফুল শিশির–নাওয়া শুভ্র–শুচি পূজারিণীর তুল। অরুণ তুমি, তরুণ তুমি, করুণ তারো চেয়ে হাসির দেশে তুমি যেন বিষাদ–লোকের মেয়ে তুমিইন্দ্র–সভার মৌন–বীণা নীরব নূপুর।।
অন্ধকারের তীর্থপথে ভাসিয়ে দিলাম
বাণী
অন্ধকারের তীর্থপথে ভাসিয়ে দিলাম নামের তরী মায়া মোহের ঝড় বাদলে এবার আমি ভয় না করি। যে নাম লেখা তারায় তারায় যে নাম ঝরে অশ্রুধারায় যাত্রা শুরু সেই নামেরি জপমালা বক্ষে ধরি।। এই আঁধারের অন্তরালে লক্ষ রবি চন্দ্র জ্বলে নিত্য ফোটে আলোর কমল জানি তোমার চরণ তলে। এবার ওগো অশিব নাশন থামাও তোমার ঢেউর নাচন সেই ত অমর মরণ যদি ধ্যান সাগরে ডুবে মরি।।
কেন উচাটন মন পরান এমন করে
বাণী
কেন উচাটন মন পরান এমন করে। কেন কাঁদে গো বধূ বঁধুর বুকে বাসরে।। কেন মিলন-রাতে সলিল আঁখি-পাতে কেন ফাগুন-প্রাতে সহসা বাদল ঝরে।। ডাকিলে অনুরাগে কেন বিদায় মাগে, (কেন) মরিতে সাধ জাগে — পিয়ার বুকের ’পরে।। ডাকিয়া ফুলবনে থাকে সে আন্মনে, কাঁদায়ে নিরজনে — কাঁদে সে নিজের১ তরে।। কবি, তোরে কে কবে সাধিল বেণুর রবে, ধরিতে গেলি যবে — বিঁধিল কুসুম-শরে।।
১. কিসের