পিও পিও হে প্রিয় শরাব পিও
বাণী
পিও পিও হে প্রিয় শরাব পিও চোখে রঙের নেশা লেগে সব অবসাদ হোক রমনীয়।। জীবনের নহবতে বাজুক সানাই আঁধার এ দুনিয়ায় জ্বলুক রোশনাই আজি আবছা আলোয় যারে লাগবে ভালো তারি গলায় চাঁদের মালা পরায়ে দিও।। আজি লেগে অনুরাগে রঙ শিরাজির প্রাণে প্রাণে লহর বহুক রস-নদীর সেই মধুর ক্ষনে বঁধু নিরজনে ভালোবাসি' দুটি কথা মোরে বলিও।।
সোনার বরণ কন্যা গো এসো আমার সোনার নায়ে
বাণী
পুরুষ : সোনার বরণ কন্যা গো, এসো আমার সোনার নায়ে চল আমার বাড়ি স্ত্রী : ওরে অচিন দেশের বন্ধুরে, তুমি ভিন্ গেরামের নাইয়া আমি ভিন্ গেরামের নারী। পুরুষ : গয়না দিব বৈচী খাড়ু শাড়ি ময়নামতীর। স্ত্রী : গয়না দিয়ে মন পাওয়া যায় না কুলবতীর। পুরুষ : শাপলা ফুলের মালা দেব রাঙা রেশমি চুড়ি। স্ত্রী : ঐ মন-ভুলানো জিনিস নিয়ে (বন্ধু) মন কি দিতে পারি? পুরুষ : (তুমি) কোন্-সে রতন চাও রে কন্যা, আমি কি তা জানি? স্ত্রী : তোমার মনের রাজ্যে আমি হ’তে চাই রাজরানী। দ্বৈত : হইও সাক্ষী তরুলতা পদ্মা নদীর পানি (আরে ও) (আজি) কূল ছাড়িয়া দু’টি প্রাণী অকূলে দিল পাড়ি॥
কে ডাকিলে আমারে আঁখি তুলে
বাণী
কে ডাকিলে আমারে আঁখি তুলে'। এই প্রভাতে তটিনী-কূলে কূলে।। ঐ ঘুমায়ে সকলি, জাগেনি কেউ জল নিতে এখনো আসেনি বউ, শুধু তব নদীতে জেগেছে ঢেউ — মেলেছ নয়ন কানন-ফুলে।। যে সুবাস ঝরে ও-এলোকেশে কমলে তা' দিলে নাহিতে এসে', তব তনু-মন দীঘিতে ভেসে' — মাতাইছে, মধুপ পথ ভুলে। ও শিশির-কপোল-স্বেদ বারি পড়িল ঝরি' নয়নে আমারি, জাগিয়া হেরি রূপ-মনোহারী — দাঁড়ায়ে উষসী তোরণ-মূলে।।
দাও দাও দরশন পদ্ম-পলাশ লোচন
বাণী
দাও দাও দরশন পদ্ম-পলাশ লোচন, কেঁদে দু’ নয়ন হ’ল অন্ধ। আকাশ বাতাস ঘেরা, তব ও মন্দির বেড়া আর কতকাল রবে বন্ধ॥ পাখি যেমন সন্ধ্যাকালে, বন্ধু-স্বজন পালে পালে উড়ে এসে ব’সেছিল ডালে হে। রাত পোহালে একে এক, উড়ে গেল দিগ্বিদিকে, প’ড়ে আছি একা নিরানন্দ। টুটিল বাঁধন মায়ার, কবে শুনিব এবার ও রাঙা চরণ নূপুর ছন্দ॥ দুখ-শোক রৌদ্রজলে, ফেলে মোরে পলে পলে ছলিতেছ হরি কত ছল হে জীবনের বোঝা প্রভু, বহিতে কি হবে তবু সহিতে পারি না আর দ্বন্দ্ব। মরণের সোনার ছোঁওয়ায়, ডেকে লও ও রাঙা পায় দেখাও এবার মুখ-চন্দ॥