বাণী

ঝলমল জরীণ বেণী দুলায়ে প্রিয়া কি এলে 
সজল শাওন-মেঘে কাজল নয়ন মেলে।।
কেয়া ফুলের পরিমল, ঝুরে মরে তব পথে,
হেরি দীঘল তব তনু তাল পিয়াল তরু পড়ে হেলে’।।
পরিবে বলিয়া খোঁপায় ঝরিছে বকুল চাঁপা
তোমায় খুঁজিছে আকাশ তারার প্রদীপ জ্বেলে।।
তোমারি লাবনি প্রিয়া ঝরিছে শ্যামল মেঘে,
ফুটালে ফুল মরুভূমে চঞ্চল চরণ ফেলে।।

বাণী

হয়ত আমার বৃথা আশা তুমি ফিরে আসবে না।
আশা-তরী ডুববে কূলে দুখের স্রোতে ভাসবে না।।
	হয়তো তুমি এমনি ক'রে
	পথ চাওয়াবে জনম ভ'রে
রইবে দূরে চিরতরে সামনে এসে হাসবে না।।
কামনা মোর রইলো মনে রূপ ধ'রে তা উঠলো না;
বারে বারে ঝরলো মুকুল ফুল হয়ে তা ফুটলো না।
	অবুঝ এ প্রাণ তবু কেন
	তোমার ধ্যানেই বিভোর হেন
তুমি চির চপল নিঠুর - জানি, ভালোবাসবে না।।

বাণী

এলো ফুল-দোল ওরে এলো ফুল দোল আনো রঙ-ঝারি।
অশোকমঞ্জরি অলকে পরি এসো গোপ-নারী।।
ঝরিছে আকাশে রঙের ঝরনা
হায় শ্যামা ধরণী হ’ল আবির-বরণা,
ত্যজি’ গৃহ-কাজ এসো চল-চরণা — ডাকে গিরিধারী।।
পরাগ-আবির হানে বনবালা সুরের পিচ্‌কারি হানিছে কুহু,
রঙিন্‌ স্বপন রাতের ঘুমে অনুরাগ-রং ঝরে মনে মুহু মুহু।
রাঙে গিরি-মল্লিকা রঙিন বর্ণে,
রাতের আঁচল ভরে জোছনার স্বর্ণে
কুলের কালি সখি দেবে ধুয়ে রাঙা পিচ্‌কারি।।

বাণী

	মা তোর কালো রূপের মাঝে রসের সাগর লুকিয়ে আছে,
তোর	কৃষ্ণ জ্যোতির আড়াল টেনে মোর প্রেমময় কৃষ্ণ নাচে।।
			(নাচে, নাচে, নাচে গো)
আমি	যাঁহার পরম তৃষ্ণা লয়ে কাঁদি (মা),
ওমা	কৃষ্ণা কেন রাখলি তারে বাঁধি,
ওমা	যোগমায়া সে যে বাজায় বাঁশি তোরই রূপের কদম গাছে।।
	আমার অভয় সুন্দরেরে কেন ভয়ের আবরণে
	রাখলি ঢেকে মাগো, আমি কাঁদব কত এই বিরহের বৃন্দাবনে।
ওমা	তোর শক্তি যমুনারি তীরে
	নাম লয়ে মোর শ্যাম যে কেঁদে ফিরে।
তুই	কোলে করে মেয়েরে তোর নিয়ে যা তাঁর পায়ের কাছে।।

বাণী

ভোলো ভোলো গো লায়লী মজনুর ভালোবাসা।
সেই তো প্রেমিক প্রেম কয় তারে,
প্রিয়া যদি কয় ভোলো সে-প্রিয়ারে।
আজি হতে তাই ছাড়িলাম আমি তোমারে পাবার আশা
			ভোলো মজনুর ভালোবাসা।।

বাণী

মোমের পুতুল মমীর দেশের মেয়ে নেচে যায়।
	বিহবল–চঞ্চল–পায়।।
	খর্জুর–বীথির ধারে
	সাহারা মরুর পারে
বাজায় ঘুমুর ঝুমুর ঝুমুর মধুর ঝঙ্কারে।
	উড়িয়ে ওড়না ‘লু’ হাওয়ায়
	পরী–নটিনী নেচে যায়
	দুলে দুলে দূরে সুদূর।।
সুর্মা–পরা আঁখি হানে আস্‌মানে,
জ্যোৎস্না আসে নীল আকাশে তার টানে।
	ঢেউ তুলে নীল দরিয়ায়
	দিল–দরদী নেচে যায়
	দুলে দুলে দূরে সুদূর।।