অয়ি চঞ্চল-লীলায়িত-দেহা চির-চেনা
বাণী
অয়ি চঞ্চল-লীলায়িত-দেহা চির-চেনা ফোটাও মনের বনে তুমি বকুল হেনা।। যৌবন-মদ গর্বিতা তন্বী আননে জ্যোৎস্না, নয়নে বহ্নি, তব চরণের পরশ বিনা অশোক তরু মুঞ্জরে না।। নন্দন-নন্দিনী তুমি দয়িতা চির-আনন্দিতা, প্রথম কবির প্রথম লেখা তুমি কবিতা। নৃত্য শেষের তব নুপুরগুলি হায় রয়েছে ছড়ানো আকাশের তারকায় সুর-লোক-উর্বশী হে বসন্ত-সেনা ! চির-চেনা।।
তুমি প্রভাতের সকরুণ ভৈরবী
বাণী
তুমি প্রভাতের সকরুণ ভৈরবী। শিশির-সজল ভোরের আকাশে ভাসে তোমারি উদাস ছবি।। বিষাদ গভীর কার কল্পনা রূপ ধ’রে তুমি ফের আনমনা, তোমারি মূরতি ধেয়ায় স্বপনে বিরহী সুরের কবি।। তুমি ধরা দিতে যেন আস নাই ধরণীতে, একা-একা খেলা খেল সারাবেলা সাথিহীন তরণীতে। আঘাত হানিয়া সে-কোন্ নিঠুর জাগাবে তোমাতে আশাবরি সুর, পাষাণ টুটিয়া গলিয়া পড়িবে অশ্রুর জাহ্নবী।।
তুমি সারাজীবন দুঃখ দিলে
বাণী
তুমি সারাজীবন দুঃখ দিলে, তব দুঃখ দেওয়া কি ফুরাবে না! যে ভালোবাসায় দুঃখে ভাসায় সে কি আশা পূরাবে না॥ মোর জনম গেল ঝুরে ঝুরে - লোকে লোকে ঘুরে ঘুরে, তব স্নিগ্ধ পরশ দিয়ে কি, নাথ, দগ্ধ হিয়া জুড়াবে না॥ তুমি অশ্রুতে যে-বুক ভাসালে — সেই বক্ষে এসো দিন ফুরালে তুমি আঘাত দিয়ে ফুল ঝরালে, হাত দিয়ে কি কুড়াবে না॥
তোর নামেরই কবচ দোলে
বাণী
তোর নামেরই কবচ দোলে দোলে আমার বুকে, হে শঙ্করী। কি ভয় দেখাস্? আমি তোকেও ভয় করি না, ভয় করি না ভয়ঙ্করী।। মৃত্যু প্রলয় তাদের লাগি নয় যারা তোর অনুরাগী। (মাগো) তোর শ্রীচরণ আশ্রয় মোর (দেখে) মরণ আছে ভয়ে মরি’।। তোর যদি না হয় মা বিনাশ, আমিও মা অবিনাশী; (আমি) তোরই মাঝে ঘুমাই জাগি, তোরই কোলে কাঁদি হাসি। তোর চরণ ছেড়ে পলায় যারা (মা) মায়ার জালে মরে তারা তোর মায়া-জাল এড়িয়ে গেলাম মা তোর অভয়-চরণ ধরি, মা।।