বাণী

চিরদিন পূজা নিয়েছ দেবতা এবার মোদের পূজিতে হবে।
বৃথাই কেঁদেছি বৃথাই সেধেছি সহেছি দুঃখ শোক নীরবে।।
	টলেনি পাষাণ বলনি কথা
	কাঁদিয়েছ চিরকাল নিঠুর দেবতা,
কাঁদিতে হবে আজ আমাদের ঘরে সে-পূজার ঋণ সুধিবে এ ভবে।।

নাটক : ‘অন্নপূর্ণা’

বাণী

জাগো	দুস্তর পথের নব যাত্রী
		জাগো জাগো!
ঐ	পোহাল তিমির রাত্রি।।
	দ্রীম দ্রীম দ্রীম রণ-ডঙ্কা
	শোন বোলে নাহি শঙ্কা!
	আমাদের সঙ্গে নাচে রণ-রঙ্গে
	দনুজ-দলনী বরাভয়-দাত্রী।।
	অসম্ভবের পথে আমাদের অভিযান
	যুগে যুগে করি মোরা মানুষেরে মহীয়ান।
	আমরা সৃজিয়া যাই নতুন যুগভাই
	মোরা নবতম ভারত-বিধাত্রী।।
	সাগরের শঙ্খ ঘন ঘন বাজে,
	রণ-অঙ্গনে চল কুচকাওয়াজে।
	বজ্রের আলোকে মৃত্যুর মুখে
	দাঁড়াব নির্ভীক উগ্র সুখে
	ভারত-রক্ষী মোরা নব শাস্ত্রী।।

বাণী

মাকে আদর করে কালী বলি সে সত্যি কালো নয় রে।
তার ঈষৎ হাসির এক ঝলকে জগৎ আলো হয় রে,
			ত্রি-জগৎ আলো হয় রে।।
(কালো নয় কালো নয়, চরণে যার মহাকাল
পায়ের নখে চাঁদের মালা, কালো নয় কালো নয়)
			সত্যি কালো নয় রে।।
(আমরা) আপনভোলা পাগলী গিরিবালা
মুন্ডামালায় মনে করে কুন্দফুলের মালা;
(রয়) মরা-ছেলে বুকের ধ’রে শ্মশানে তন্ময় রে,
রয় শ্মশানে তন্ময় রে।
শ্মশানে সে থাকে ব’লে ভয়ঙ্করী নয় রে!
(ভবের) খেলা-শেষে সকলেরে দেয় সে বরাভয় রে।।
(সে) মারে যাকে, মালা করে তারেও পরে রয় রে!
(সেই) তামসিকও যায়রে তরে (মাকে) তামসী যে কয় রে।।

বাণী

আমরা বনের পাখি বনের দেশে থাকি।
ফিরি পাহাড়ি ফুলের রাঙা পরাগ মাখি’।।
মোরা ঝর্না-ধারে ঐ নীল পাহাড়ে
দেবদারুর শাখায় বাঁধি লতার রাখি।
শুনি বন-উদাসী মিঠে পাহাড়ি বাঁশি
মোরা শিস্ দিয়ে রাখাল ছেলেরে ডাকি।।

নাটক : ‘মধুমালা’

বাণী

নমস্তে বীণা পুস্তক হস্তে দেবী বীণাপাণি।
শতদল-বাসিনী সিদ্ধি-বিধায়িনী সরস্বতী বেদবাণী।।
	এসো আমল ধবল শুভ সাত্ত্বিকী বর্ণে,
	হংস-বাহনে লীলা উৎপল কর্ণে,
এসো বিদ্যারূপিণী মা শারদা ভারতী এসো ভীতজনে বরাভয় দানি।।
	শুদ্ধ জ্ঞান দাও শুভ্র আলোক
	অজ্ঞান তিমির অপগত হোক।
মৃতজনে সঙ্গীত-অমৃত দাও মা বীণাতে মাভৈঃ ঝঙ্কার হানি।

বাণী

পুরুষ	:	কিশোরী বাসন্তী ডাকিছে তোমায় ফুলবন।
স্ত্রী	:	ডাকে হে শ্যাম, তোমায় তাল ও তমাল বন শন্ শন্।।
পুরুষ	:	তুমি ফুলের বারতা
স্ত্রী	:	তুমি বন-দেবতা,
উভয়ে	:	আমরা আভাস ফাল্গুনের, দূর স্বর্গের পরশন।।
পুরুষ	:	কল্প-লোকের তুমি রূপ-রানী গো প্রিয়া,
		অপাঙ্গে ফোটাও যুঁই-চম্পা-টগর-মোতিয়া।
স্ত্রী	:	নিঠুর পরশ তব (হায়) যাচিয়া জাগে বনভূমি
		ফুলদল পড়ে ঝরি’ তব চারু পদ চুমি’,
উভয়ে	:	আমরা ফুলশর-ঊর্বশী দেব-সভার মোরা হরষণ।।