তোমারেই আমি চাহিয়াছি প্রিয়
বাণী
তোমারেই আমি চাহিয়াছি প্রিয় শতরূপে শতবার। জনমে জনমে চলে তাই মোর অনন্ত অভিসার।। বনে তুমি যবে ছিলে বনফুল গেয়েছিনু গান আমি বুল্বুল্, ছিলাম তোমার পূজার থালায় চন্দন ফুলহার।। তব সংগীতে আমি ছিনু সুর নৃত্যে নূপুর–ছন্দ, আমি ছিনু তব অমরাবতীতে পারিজাত ফুল–গন্ধ। কত বসন্তে কত বরষায় খুঁজেছি তোমায় তারায় তারায়, আজিও এসেছি তেমনি আশায় ল’য়ে স্মৃতি–সম্ভার।।
কি দিয়ে পূজি ভগবান
বাণী
কি দিয়ে পূজি ভগবান! আমার ব’লে কিছু নাহি হরি সকলি তোমারি যে দান মন্দিরে তুমি, মূরতিতে তুমি পূজার ফুলে তুমি, স্তব-গীতে তুমি, ভগবান দিয়ে ভগবান পূজা করিতে — তুমি যদি ভাব অপমান॥ কেমন তব রূপ দেখিনি হরি আপন মন দিয়ে তোমারে গড়ি, কাঁদ না হাস তুমি সে-রূপ হেরি — বুঝিতে পারি না আমি তাই কাঁদে প্রাণ॥ কোটি রবি-শশী আরতি করে যারে, প্রদীপ জ্বালিয়া খুঁজি আমি তারে। বন-ডালা যাঁর পূজার সম্ভার, যোগী মুনি করে যুগযুগ ধ্যান। কোথা শ্রীমুখ তব কোথা শ্রীচরণ, চন্দন দিব কোন্খান ॥
মদিনার শাহানশাহ্ কোহ্-ই-তূর-বিহারী
বাণী
মদিনার শাহানশাহ্ কোহ্-ই-তূর-বিহারী মোহাম্মদ মোস্তফা নবুয়তধারী॥ আল্লার প্রিয় সখা, দুলাল মা আমেনার খাদিজার স্বামী, প্রিয়তম আয়েশার আস্হাবের হাম্দম্, ওয়ালেদ ফাতেমার, বেলালের আজান, খালেদের তলোয়ার, কেয়ামতে উম্মত শাফায়ত-কারী॥ তৌহিদ-বাণী মুখে, আল-কোরআন হাতে খোদার নূর দেখি যাঁর হাসির ইশারাতে যাঁর কদমের নীচে দুলে কত জিন্নাত, যে দু’হাতে বিলালো দুনিয়ায় খোদার মোহাব্বত হো মেরাজের দুলহা আল্লার আর্শচারী॥ নয়নে যাঁর সদা খোদার রহমত ঝরে সংসার মরুবাসী পিয়াসার তরে আনিল যে কওসর সাহারা নিঙাড়ি’॥
চাঁদের কন্যা চাঁদ সুলতানা
বাণী
চাঁদের কন্যা চাঁদ সুলতানা, চাঁদের চেয়েও জ্যোতি। তুমি দেখাইলে মহিমান্বিতা নারী কী শক্তিমতী।। শিখালে কাঁকন চুড়ি পরিয়াও নারী, ধরিতে পারে যে উদ্ধত তরবারি, না রহিত অবরোধের দুর্গ, হতো না এ দুর্গতি।। তুমি দেখালে নারীর শক্তি স্বরূপ – চিন্ময়ী কল্যাণী, ভারত জয়ীর দর্প নাশিয়া মুছালে নারীর গ্লানি। তুমি গোলকুন্ডার কোহিনূর হীরা সম আজো ইতিহাসে জ্বলিতেছে নিরুপম, রণরঙ্গিণী ফিরে এসো, তুমি ফিরিয়া আসিলে, ফিরিয়া আসিবে লক্ষী ও সরস্বতী।।