বাণী

কিশোর রাখাল বেশে মেষ চারণে যায় নবী
নীল রেশমি রুমাল বেঁধে তার চারু-চাঁচর কেশে।
তাঁর রাঙা পদতলে পুলকে ধরা টলে
তাঁর রূপ -লাবনির ঢলে মরুভূমি গেল ভেসে।।
তাঁর মুখে রহে চাহি মেষ-শিশু তৃণ ভুলি‌'
বিশ্বের শাহানশাহ আজ মাখে গোঠের ধূলি,
তাঁর চরণ-নখরে কোটি চাঁদ কেঁদে মরে
তাঁর ছায়া ক'রে চলে আকাশে মেঘ এসে।।
কিশোর নবী গোঠে চলে
তাঁর চরণ-ছোঁয়ায় পথের পাথর মোম হয়ে যায় গ'লে
তসলিম জানায় পাহাড় চরণে ঝুকে তাঁহার।
নারাঙ্গি,আঙুর,খরজুর,পায়ে নজরানা দেয় হেসে।।

বাণী

ও কে মুঠি মুঠি আবীর কাননে ছড়ায়
রাঙা-হাসির পরাগ-ফুল আননে ঝরায়।।
তার রঙের আবেশ লাগে চাঁদের চোখে
তার লালসার রঙ জাগে রাঙা অশোকে
তার রঙিন নিশান দোলে কৃষ্ণ চূড়ায়।।
তার পুষ্প ধনু দোলে শিমূল শাখায়
তার কানা কাঁপে গো ভোমরা পাখায়,
সে খোঁপাতে বেল-ফুলের মালা জড়ায়।।
সে কুসমী শাড়ি পরায় নীল বসনায়
সে আঁধার মনে জ্বালে লাল রোশনাই
সে শুকনো বনে ফাগুন আগুন ধরায়।।

বাণী

	যাও যাও তুমি ফিরে এই মুছিনু আঁখি
	কে বাঁধিবে তোমারে হায় গানের পাখি॥
মোর	আজ এত প্রেম আশা এত ভালোবাসা
	সকলি দুরাশা আজ কি দিয়া রাখি॥
	তোমার বেঁধেছিল নয়ন শুধু এ রূপের জালে
	তাই দুদিন কাঁদিয়া হায় এ বাঁধন ছাড়ালে।
	আমার বাঁধিয়াছে হিয়া আমি ছাড়াব কি দিয়া
	আমার হিয়া তো নয়ন নহে ও সে ছাড়ে না কাঁদিয়া,
	ওগো দুদিন কাঁদিয়া।
	এই অভিমান জ্বালা মোর একেলারি কালা
	ম্লান মিলনেরি মালা দাও ধূলাতে ঢাকি॥

বাণী

মদিনার শাহানশাহ্ কোহ্-ই-তূর-বিহারী
মোহাম্মদ মোস্তফা নবুয়তধারী॥
আল্লার প্রিয় সখা, দুলাল মা আমেনার
খাদিজার স্বামী, প্রিয়তম আয়েশার
আস্‌হাবের হাম্‌দম্‌, ওয়ালেদ ফাতেমার,
বেলালের আজান, খালেদের তলোয়ার,
কেয়ামতে উম্মত শাফায়ত-কারী॥
তৌহিদ-বাণী মুখে, আল-কোরআন হাতে
খোদার নূর দেখি যাঁর হাসির ইশারাতে
যাঁর কদমের নীচে দুলে কত জিন্নাত,
যে দু’হাতে বিলালো দুনিয়ায় খোদার মোহাব্বত
হো মেরাজের দুলহা আল্লার আর্শচারী॥
নয়নে যাঁর সদা খোদার রহমত ঝরে
সংসার মরুবাসী পিয়াসার তরে
আনিল যে কওসর সাহারা নিঙাড়ি’॥

বাণী

প্রিয়	মুহরে-নবুয়ত-ধারী হে হজরত
		(প্রিয়) তারিতে উম্মত এলে ধরায়
	মোহাম্মদ মোস্তফা, আমহদ মুরতজা
		নাম জপিতে নয়নে আঁসু ঝরায়।।
দিলে 	মুখে তক্‌বির, দিলে বুকে তৌহিদ
দিলে 	দুঃখেরই সান্ত্বনা খুশির ঈদ
দিলে 	প্রাণে ঈমান, দিলে হাতে কোরআন
		শিরে শিরতাজ নাম মুসলিম আমায়।।
তব	সব নসিহত মোরা গিয়াছি ভুলে
শুধু	নাম তব আছে জেগে প্রাণের কূলে
	ও-নামে এ প্রাণ-সিন্ধু তব দুলে
		আমি ঐ নামে ত’রে যাব, আছি আশায়।।

বাণী

এসো বঁধু ফিরে এসো, ভোলো ভোলো অভিমান।
দিব ও-চরণে ডারি’ মোর তনু মন প্রাণ।।
	জানি আমি অপরাধী
	তাই দিবানিশি কাঁদি’,
নিমেষের অপরাধের কবে হবে অবসান।।
	ফিরে গেলে দ্বারে আসি’
	বাসি কিনা ভালোবাসি,
কাঁদে আজ তব দাসী — তুমি তার হৃদে ধ্যান।।
	সে-দিন বালিকা-বধূ
	শরমে মরম-মধু,
পি’য়াতে পারিনি বঁধু — আজ এসে কর পান।।
	ফিরিয়া আসিয়া হেথা
	দিও দুখ দিও ব্যথা,
সহে না এ নীরবতা — হে দেবতা পাষাণ।।