বাণী

		মোরা বিহান-বেলা উঠে রে ভাই চাষ করি এই মাটি।
		যে মাটির বুকে আছে পাকা ধানের সোনার কাঠি॥
		ফসল বুনে রোদের তাতে উঠি যখন ঘেমে
		সদয় হয়ে আকাশ বেয়ে বৃষ্টি আসে নেমে
(ওরে)		মুচকি হেসে বৌ এনে দেয় পান্তা ভাতের বাটি॥
		আশ মেটে না চারা ধানের পানে চেয়ে চেয়ে
		মরাই ভ’রে থাকবে ওরাই আমার ছেলে মেয়ে।
(আমি)	চাই না স্বর্গ, পাই যদি এই পাকা ধানের আটি (রে ভাই)॥
		জল নিতে যায় আড়চোখে চায় বৌ-ঝি নদীর কূলে
		খুশিতে বুক ভ’রে ওঠে, খাটুনি যাই ভুলে।
		এ মাঠ নয় ভাই বৌ পেতেছে ঠান্ডা শীতল পাটি॥

বাণী

থির হয়ে তুই ব’স দেখি মা খানিক আমার আঁখির আগে
দেখব নিত্য লীলাময়ী থির হলে তুই কেমন লাগে।।
	শান্ত হ’লে ডাকাত মেয়ে
	কেমন দেখায় দেখব চেয়ে (মা গো)
চিন্ময় শিব শম্ভু কেন চরণ-তলে শরণ মাগে।।
দেখব চেয়ে জননী তুই সাকারা না নিরাকারা
কেমন করে কালি হয়ে নামে ব্রক্ষ্মজ্যোতিধারা।
	কোলে নিতে কোলের ছেলে
	শ্মশান জাগিস বাহু মেলে
কেমন ক’রে মহামায়া তোর বুকে মায়া জাগে।।

বাণী

প্রদীপ নিভায়ে দাও, উঠিয়াছে চাঁদ।
বাহুর ডোর আছে, মালায় কি সাধ।।
ফুল আনিও না ভবনে
কেশের সুবাস তব ঘনাক মনে,
হৃদয়ের লাগি মোর হৃদয় কাঁদে চন্দন লাগে বিস্বাদ।।
খোলো গুণ্ঠন, ফেলে দাও আভরণ,
হাতে রাখ হাত, তোলো আনত নয়ন।
বাহিরে বহুক বাতাস
বক্ষে লাগুক মোর তব ঘন শ্বাস,
চম্পার ডালে ব’সে মোদেরে দেখে,
কুহু আর পাপিয়ায় করুক বিবাদ।।

১. বাহু-বন্ধন

বাণী

তরুণ অশান্ত কে বিরহী।
নিবিড় তমসায় ঘন ঘোর বরষায় —
দ্বারে হানিছ কর রহি রহি।।
ছিন্ন পাখা কাঁদে মেঘ-বলাকা
কাঁদে ঘোর অরণ্য আহত-শাখা
	চোখে আশা-বিদ্যুৎ
	এলে কোন মেঘদূত,
বিধূর বঁধূর মোর বারতা বহি’।।

বাণী

লাল টুক্‌টুক্‌ মুখে হাসি মুখখানি টুলটুল।
বিনি পানে রঙ দেখে যায় লাল-ঝুঁটি বুলবুল।।
দেখতে আমার, খুকুর বিয়ে
সূয্যি ওঠেন উদয় দিয়ে,
চাঁদ ওঠে ঐ প্রদীপ নিয়ে গায় নদী কুল্‌কুল্‌।।

নাটিকাঃ ‘পুতুলের বিয়ে’

বাণী

ও কে সোনার চাঁদ কাঁদে রে হেরা গিরির ’পরে।
শিরে তাঁহার লক্ষ কোটি চাঁদের আলো ঝরে।।
কী অপরূপ জ্যোতির ধারা নীল আসমান হ’তে
			নামে বিপুল স্রোতে,
হেরা পাহাড় বেয়ে বহে সাহারা মরু পথে,
সেই জ্যোতিতে দুনিয়া আজি ঝলমল করে।।
আগুন বরণ ফেরেশ্‌তা এক এসে,
‘খোদার হাবিব, জাগো জাগো’, বলে হেসে হেসে।
নবুয়তের মোহর দিল বাজুতে তাঁর বেঁধে
তাজিম ক’রে কদমবুসি করে কেঁদে কেঁদে,
সেই নবীরই নামে আজি দুনিয়া দরুদ পড়ে।।