আমায় আঘাত যত হানবি শ্যামা
বাণী
আমায় আঘাত যত হানবি শ্যামা ডাকব তত তোরে। মায়ের ভয়ে শিশু যেমন লুকায় মায়ের ক্রোড়ে।। ওমা চারধারে মোর দুখের পাথার তুই পরখ্ কত করবি মা আর, আমি জানি তবু পার হ’ব মা চরণতরী ধ’রে।। আমি ছাড়বো না তোর নামের ধেয়ান বিশ্বভুবন পেলে, আমায় দুঃখ দিয়ে নাম ভুলাবি, নই মা তেমন ছেলে। আমায় দুঃখ দেওয়ার ছলে তুই স্মরণ করিস পলে পলে, আমি সেই আনন্দে দুখের অসীম-সাগর যাব ত’রে।।
কে এলো ওরে কে এলো
বাণী
কে এলো ওরে কে এলো শুকানো মানস-মাধবী-কুঞ্জে। জানাইতে মোরে কার আগমনী চরণে নূপুর-মুঞ্জে।। তারি সাথে জাগে নব কিশলয় ধীরি ধীরি ধীরি বহিল মলয়, ফোটা ফুলে ফুলে সুখে দুলে দুলে অলিকুল মধুগুঞ্জে।। গেছে কত যুগ-যুগান্ত, এলো ফিরে ফিরে হৃদয়প্রান্ত। পিক সুকণ্ঠে গায় আবাহন বন-শোভা-গণ করিছে বরণ, মিলনের তরে খুঁজিছে পিয়ারে ফুটিল কুসুম কুঞ্জে কুঞ্জে।।
ঘন-ঘোর-মেঘ-ঘেরা দুর্দিনে ঘনশ্যাম
বাণী
ঘন-ঘোর-মেঘ-ঘেরা দুর্দিনে ঘনশ্যাম ভূ-ভারত চাহিছে তোমায়। ধরিতে ধরার ভার নাশিতে এ হাহাকার আরবার এসো এ ধরায়।। নিখিল মানবজাতি কলহ ও দ্বন্দ্বে পীড়িত শ্রান্ত আজি কাঁদে নিরানন্দে, শঙ্খপদ্ম হাতে এ ঘোর তিমির-রাতে তিমির-বিদারী এসো অরুণ-প্রভায়।। বিদূরিত কর এই নিরাশা ও ভয়, মানুষে মানুষে হোক প্রেম অক্ষয়। কলিতে দলিতে এসো এই দুখ-পাপ-তাপ আন বর সুন্দর, শেষ হোক অভিশাপ, গদা ও চক্র করে অরিন্দম এসো, হত-মার দুর্বল মাগিছে সহায়।।