সজল হাওয়া কেঁদে বেড়ায়
বাণী
সজল হাওয়া কেঁদে বেড়ায় কাজল আকাশ ঘিরে, তুমি এসো ফিরে। উঠ্ছে কাঁদন ভাঙন-ধরা নদীর তীরে তীরে, তুমি এসো ফিরে।। বন্ধু তব বিরহেরি অশ্রু ঝরে গগন ঘেরি’ লুটিয়ে কাঁদে বনভূমি অশান্ত সমীরে।। আকাশ কাঁদে, আমি কাঁদি বাতাস কেঁদে সারা, তুমি কোথায়, কোথায় তুমি পথিক পথহারা। দুয়ার খুলে নিরুদ্দেশে চেয়ে আছি অনিমেষে, আঁচল ঢেকে রাখবো কত আশার প্রদীপটিরে।
আমার কালিবাঞ্ছা কল্পতরুর ছায়াতলে আয় রে
বাণী
আমার কালিবাঞ্ছা কল্পতরুর ছায়াতলে আয় রে, এই তরুতলে যে যাহা চায় তখনি তা পায় রে॥ তুই চতুর্বর্গ ফল কুড়াবি যোগ পাবি, ভোগ পাবি এমন কল্পতরু থাকতে - কেন মরিস্ নিরাশায় রে॥ দস্যু ছেলের আবদারে সে সাজে ডাকাত কালির বেশে, কত রামপ্রসাদের কন্যা হয়ে বেড়া বেঁধে যায় রে। ওরে পুত্র-কন্যা বিভব-রতন, চেয়ে নে যার ইচ্ছা যেমন, ওরে আমার এ মন থাকে যেন বাঞ্ছাময়ীর পায় রে॥ সে আর কিছু না চায় চেয়ে চেয়ে বাসনা তার শেষ হল না হায়! এবার খালি হাতে তালি দিয়ে (আমি) চাইব কালিকায় রে॥
আজি ঘুম নহে নিশি জাগরণ
বাণী
আজি ঘুম নহে, নিশি জাগরণ। চাঁদেরে ঘিরি’ নাচে ধীরি ধীরি তারা অগণন।। প্রখর-দাহন দিবস-আলো, নলিনী-দলে ঘুম তখনি ভালো। চাঁদ চন্দন চোখে বুলালো খোলো গো নিঁদ-মহল-আবরণ।। ঘুরে ঘুরে গ্রহ, তারা, বিশ্ব, আনন্দে নাচিছে নাচুনি ঘূর্ণির ছন্দে। লুকোচুরি-নাচ মেঘ তারা মাঝে নাচিছে ধরণী আলোছায়া-সাজে, ঝিল্লির ঘুমুর ঝুমুঝুমু বাজে খুলি’ খুলি’ পড়ে ফুল-আভরণ।।