জাগো দুস্তর পথের নব যাত্রী
বাণী
জাগো দুস্তর পথের নব যাত্রী জাগো জাগো! ঐ পোহাল তিমির রাত্রি।। দ্রীম দ্রীম দ্রীম রণ-ডঙ্কা শোন বোলে নাহি শঙ্কা! আমাদের সঙ্গে নাচে রণ-রঙ্গে দনুজ-দলনী বরাভয়-দাত্রী।। অসম্ভবের পথে আমাদের অভিযান যুগে যুগে করি মোরা মানুষেরে মহীয়ান। আমরা সৃজিয়া যাই নতুন যুগভাই মোরা নবতম ভারত-বিধাত্রী।। সাগরের শঙ্খ ঘন ঘন বাজে, রণ-অঙ্গনে চল কুচকাওয়াজে। বজ্রের আলোকে মৃত্যুর মুখে দাঁড়াব নির্ভীক উগ্র সুখে ভারত-রক্ষী মোরা নব শাস্ত্রী।।
আর অনুনয় করিবে না কেউ
বাণী
আর অনুনয় করিবে না কেউ কথা কহিবার তরে আর দেখিবে না স্বপন রাতে গো কেহ কাদেঁ হাত ধ'রে। তব মুখ ঘিরে আর মোর দু' নয়ন ভ্রমরের মত করিবে না জ্বালাতন তব পথ আর পিছল হবে না আমার অশ্রু ঝরে'। তোমার ভুবনে পড়িবে না আর কোনদিন ছায়া মম তোমার পূর্ণ-চাদেঁর তিথিতে আসিব না রাহু-সম। আর শুনিবে না করুণ কাতর এই ক্ষুধাতুর ভিখারির স্বর শুনিবে না আর কাহারও রোদন রাতের আকাশ ভ'রে।।
মোহাম্মদের নাম জপেছিলি বুলবুলি তুই আগে
বাণী
মোহাম্মদের নাম জপেছিলি বুলবুলি তুই আগে। তাই কিরে তোর কণ্ঠেরি গান, (ওরে) এমন মধুর লাগে।। ওরে গোলাপ নিরিবিলি নবীর কদম ছুঁয়েছিলি — তাঁর কদমের খোশবু আজো তোর আতরে জাগে।। মোর নবীরে লুকিয়ে দেখে তাঁর পেশানির জ্যোতি মেখে, ওরে ও চাঁদ রাঙলি কি তুই গভীর অনুরাগে।। ওরে ভ্রমর তুই কি প্রথম চুমেছিলি তাঁহার কদম, গুন্গুনিয়ে সেই খুশি কি জানাস্ রে গুল্বাগে।।
এসো মা পরমা শক্তিমতী
বাণী
এসো মা পরমা শক্তিমতী। দাও শ্রী দাও কান্তি-আনন্দ-শান্তি অন্তরে বাহিরে দিব্য জ্যোতি।। দাও অপরাজেয় পৌরুষ শক্তি দাও দুর্জয় শৌর্য পরা-ভক্তি, দাও সূর্য সম তেজ প্রদীপ্ত প্রাণ ঝঞ্ঝার সম বাধাহীন গতি।। এসো মা পরম অমৃতময়ী, নির্জিত জাতি হোক মৃত্যুজয়ী। পরম জ্ঞান দাও পরম অভয় রূপ-সুন্দর তনু প্রাণ প্রেমময়, আকাশের মত দাও মুক্ত জীবন সকল কর্মে হও তুমি সারথি।।
ঝাঁপিয়া অঞ্চলে কেন বিধুবদন অবনত
বাণী
ঝাঁপিয়া অঞ্চলে কেন বিধুবদন অবনত কাঁদে নয়ান। অভিমান পরিহর হরি-হৃদি বিহারিণী প্রেম দিয়া জুড়াও এ প্রাণ। তুয়া বিনা নয়নে অন্যে না হেরি একই রাধা আছে ত্রিভুবন ঘেরি’ (আমি রাধা ছাড়া জানি’ না অনন্ত বিশ্বে রাধারই রূপধারা, রাধা ছাড়া দেখি না) ভৃঙ্গার ভরি’ তুমি শৃঙ্গার রস করাও পান, তাই হই যে অবশ।। তুমি রাধা হয়ে মধু দিলে মাধব হই, তুমি ধারা হয়ে নামিলে সৃষ্টিতে রই রাধা, সকলি তোমার খেলা তবে কেন কর অভিমান, কেন কর হেলা। প্রতি দেহ-বিম্বে তোরি পদতলে হর হয়ে রহি তাই ছবি। হরিরত হর-জ্ঞান মহামায়া হরিলী (এ যে) তোমারই ইচ্ছা, আমি নিজে নিজে রূপ ধরিণী। ভোল মানের খেলা দূরে থেকোনা, দাও চরণ ভেলা আমি তরে’ যাই, তরে’ যাই রাধা-প্রেম যমুনায় ডুবিয়া মরে’ যাই।।
পাঠান্তর : রেকর্ডের জন্য কবি এই গানটির বহু অংশ বর্জন করেন।বর্জিত অংশগুলো এই:
গলে দিয়া পীতধড়া গো, পদতলে দিয়া শিখী-চূড়া গো
পদযুগ ধরিয়া চাহি ক্ষমা, ক্ষম অপরাধ প্রিয়তমা!
হরি-মনোরমা ক্ষমা কর গো।।
তব প্রেমে অবগাহন করি সব দাহন চিরতরে জুড়াব
কল্প-কদম-তরু-তলে চিরদিন তোমার প্রেম-কণা কেশর কুড়াব।।