বাণী

হাসে আকাশে শুকতারা হাসে।
অরুণ-রঞ্জনী-ঊষার পাশে॥
	ওকি ঊষসীর সাথী
	বাসর ঘরে জাগে রাতি,
(ওকি) সখীর মনের কথা জানে আভাসে॥
হাসির ছটায় ওর আঁখি কেন নাচে,
রবির রথের ধ্বনি ওকি শুনিয়াছে।
(ও) কেন দিবা আসিবার আগে
শ্রান্ত বধূর ঘুম ভাঙে,
(ওকি) ধরার সূযমুখী ফুটেছে নভে —
প্রিয়তমে প্রথম দেখার আশে॥

বাণী

(মম)	প্রাণ নিয়ে নিঠুর খেল এ কি খেলা (হায়)।
	ক্ষণে ভালোবাসা হায় ক্ষণে অবহেলা।।
	সকালে গাঁথিয়া মালা পায়ে দল বিকালে তায়।
	তেমনি দলিতে চাহ আমার পরান কি হায়।
	সহিতে পারি না আর এই হেলাফেলা।।
	জলরূপী একি কোন্ মরীচিকা তুমি কি গো।
	ডেকে এনে মরুভূমে বধিবে এ বনমৃগ।
	বুঝিয়াছি কখন হায় ফুরায়েছে বেলা।।

বাণী

পায়েলা বোলে রিনিঝিনি।
নাচে রূপ-মঞ্জরি শ্রীরাধার সঙ্গিনী।।
	ভাব-বিলাসে
	চাঁদের পাশে,
ছড়ায়ে তারার ফুল নাচে যেন নিশীথিনী।।
নাচে উড়ায়ে নীলাম্বরী অঞ্চল,
মৃদু মৃদু হাসে আনন্দ রাসে শ্যামল চঞ্চল।
কভু মৃদুমন্দ
কভু ঝরে দ্রুত তালে সুমধুর ছন্দ,
বিরহের বেদনা মিলন-আনন্দ —
ফোটায় তনুর ভঙ্গিমাতে ছন্দ-বিলাসিনী।।

বাণী

বাঁশির কিশোর লুকায়ে হেরিছে একেলা।
পিয়াল বনের পথে নিরালা সাঁঝের বেলা।
হেলে দুলে চলে কে কাঁখে গাগরি,
কাহার ঝিয়ারি, ও কাহার পিয়ারি ওই নবীনা নাগরি।।
নূপুর মিনতি করে কাঁদিয়া কাঁদিয়া
আমারে রাখিও চরণে বাঁধিয়া,
পিয়া পিয়া ব'লে ডেকে ওঠে পাপিয়া।
অঙ্গ জড়ায়ে দোলে আনন্দে ঘাগরি।।
চাঁদের মুখে যেন চন্দন মাখিয়া
কাজল কালো চোখের কলঙ্ক আঁকিয়া
আকাশ সম ওরে রেখেছে ঢাকিয়া নীলাম্বরী।।

বাণী

জ্বালো দেয়ালি জ্বালো
অসীম তিমিরে শ‍্যামা মা যে অযুত কোটি আলো।।
	এলো শক্তি অশিব নাশিনী
	এলো অভয়া চির বিজয়িনী
কালো রূপের স্নিগ্ধ লাবনি নয়ন মন জুড়ালো।।
গ্রহ তারার দেওয়ালি জলিছে পবনে
জ্বালো দীপালি জীবনের সব ভবনে।
	এলো শিবানী প্রাণ দিতে সবে
রক্ষা করিতে পীড়িত মানবে ধরাবে বাসিতে ভালো।।

বাণী

আমার গানের মালা আমি করব কারে দান
মালার ফুলে জড়িয়ে আছে করূণ অভিমান।
		মালা করব কারে দান।।
	চোখে মলিন কাজল লেখা
	কণ্ঠে কাঁদে কুহু কেকা,
কপোলে যার অশ্রু-রেখা একা যাহার প্রাণ
		মালা করব কারে দান।।
কাথায় আমার কাঁটার বেদন মালায় সূচির জ্বালা,
কণ্ঠে দিতে সাহস না পাই অভিশাপের মালা (ঐ)।
	বিরহে যার প্রেম-আরতি
	আঁধার লোকের অরুন্ধতী
নাম না জানা সেই তপতী তারি তরে গান
		মালা করব তারে দান।।