এসো ঠাকুর মহুয়া বনে ছেড়ে বৃন্দাবন
বাণী
এসো ঠাকুর মহুয়া বনে ছেড়ে বৃন্দাবন, ধেনু দেব বেণু দেব মালা চন্দন॥ কেঁদে কেঁদে কয়লা খাদে যমুনা বহাব; পলাশ বনে জাগরণে নিশি পোহাব রাধা হয়ে বাঁধা দেব আমর প্রাণ মন॥ মোর নটকান রঙ শাড়ির আঁচল ছিঁড়ে, পীত ধড়া পরাব, নীল অঙ্গ ঘিরে। পিয়াল ডালে দোলনা বেঁধে দুলিব দুজন॥ ভাসুর-শ্বশুর দ্যাখে যদি করব নাকো লাজ বলব আমার শ্যামের বাঁশি বাজ রে আবার বাজ শ্যাম তোমার লাগি জাতি কুল দিব বিসর্জন।।
হরি হে তুমি তাই দূরে থাক স’রে
বাণী
হরি হে তুমি তাই দূরে থাক স’রে হরি প্রভু বলে মোরা দূরে রাখি পাষাণ দেউলে রাখিয়াছি হায় তোমারে পাষাণ করে॥ তোমায় চেয়েছিল গোপিনীরা সেদিনও চেয়েছি মীরা ডেকে প্রিয়তম বলে তোমায় গোপাল বলিয়া ডাকিয়া পাইল যশোদা মা শচী কোলে অন্তরতম হতে নিশিদিন থাক তুমি অন্তরে॥ দেবতা ভাবিয়া পূজা দিই মোরা তুমি তাহা নাহি খাও তুমি লুকায়ে ভিখারি সাজিয়া মোদের পাতের অন্ন চাও। রাখাল ছেলের আধ খাওয়া ফল কেড়ে খাও তুমি হে চির সজল মোরা ভয় করি তাই লুকাইয়া থাক তুমি অভিমান ভরে॥
আমারে চোখ ইশারায় ডাক দিলে হায়
বাণী
আমারে চোখ ইশারায় ডাক দিলে হায় কে গো দরদি। খুলে দাও রং মহলার তিমির-দুয়ার ডাকিলে যদি।। গোপনে চৈতী হাওয়ায় গুল্-বাগিচায় পাঠালে লিপি, দেখে তাই ডাক্ছে ডালে কু কু ব’লে কোয়েলা ননদী।। পাঠালে ঘূর্ণি-দূতী ঝড়-কপোতী বৈশাখে সখি বরষায় সেই ভরসায় মোর পানে চায় জল-ভরা নদী।। তোমারি অশ্রু ঝলে শিউলি তলে সিক্ত শরতে, হিমানীর পরশ বুলাও ঘুম ভেঙে দাও দ্বার যদি রোধি।। পউষের শূন্য মাঠে একলা বাটে চাও বিরহিণী, দুঁহু হায় চাই বিষাদে, মধ্যে কাঁদে তৃষ্ণা-জলধি।। ভিড়ে যা ভোর-বাতাসে ফুল-সুবাসে রে ভোমর কবি ঊষসীর শিশ্-মহলে আস্তে যদি চাস্ নিরবধি।।