খাতুনে জান্নাত ফাতেমা জননী
বাণী
খাতুনে জান্নাত ফাতেমা জননী — বিশ্ব-দুলালী নবী নন্দিনী, মদিনাবাসিনী পাপতাপ নাশিনী উম্মত-তারিণী আনন্দিনী।। সাহারার বুকে মাগো তুমি মেঘ-মায়া, তপ্ত মরুর প্রাণে স্নেহ-তরুছায়া; মুক্তি লভিল মাগো তব শুভ পরশে বিশ্বের যত নারী বন্দিনী।। হাসান হোসেনে তব উম্মত তরে, মাগো কারবালা প্রান্তরে দিলে বলিদান, বদলাতে তার রোজ হাশরের দিনে চাহিবে মা মোর মত পাপীদের ত্রাণ। এলে পাষাণের বুকে চিরে নির্ঝর সম, করুণার ক্ষীরধারা আবে-জমজম; ফিরদৌস হ’তে রহমত বারি ঢালো সাধ্বী মুসলিম গরবিনী।।
মেঘ-মেদুর গগন কাঁদে হুতাশ পবন
বাণী
মেঘ-মেদুর গগন কাঁদে হুতাশ পবন কে বিরহী রহি’রহি’দ্বারে আঘাত হানো। শাওন ঘন ঘোর ঝরিছে বারি অঝোর কাঁপিছে কুটির মোর দীপ নেভানো।। বজ্রে বাজিয়া ওঠে তব সঙ্গীত, বিদ্যুতে ঝলকিছে আঁখি-ইঙ্গিত, চাঁচর চিকুরে তব ঝড় দুলানো, ওগো মন ভুলানো।। এক হাতে, সুন্দর, কুসুম ফোটাও! আর হাতে নিষ্ঠুর মুকুল ঝরাও। হে পথিক, তব সুর অশান্ত বায় জন্মান্তর হতে যেন ভেসে আসে হায়! বিজড়িত তব স্মৃতি চেনা অচেনায় প্রাণ কাঁদানো।।
কোন্ দূরে ও-কে যায় চ’লে যায়
বাণী
কোন্ দূরে ও-কে যায় চ’লে যায়, সে ফিরে ফিরে চায় করুণ চোখে। তার স্মৃতি মেশা হায়, চেনা-অচেনায় তারে দেখেছি কোথায় যেন সে-কোন্ লোকে।। শুনি স্বপ্নে তারি যেন বাঁশি মন-উদাসী তারি বার্তা আসে নব মধু-মাসে, পলাশ আশোকে।। কৃষ্ণচূড়া তার মালা লুটায় — চৈত্র-শেষে বনের ধূলায় কান্না-বিধুর তার ভৈরবী সুর প্রভাতী তারায় অশ্রু ঘনায়, চির-বিরহী চিনি ওকে।।