বাণী

কেন রঙীন নেশায় মোরে রাঙালে
কেন সহজ ছন্দে যতি ভাঙালে।।
শীর্ণা তনুর মোর তটিনীতে কেন
আনিলে ফেনিল জল-উচ্ছ্বাস হেন,
পাতাল-তলের ক্ষুধা মাতাল এ যৌবন —
		মদির-পরশে কেন জাগালে।।

নাটক : ‘আলেয়া’ (মাদালসার গান)

বাণী

মা! আমার মনে আমার বনে
		ফোটে যত কুসুম দল
সে ফুল মাগো তোরই তরে
		পূজ্‌তে তোরই চরণতল।।

নাটকঃ ‘বিদ্যাপতি’

বাণী

ওরে	যোগ-সাধনা পরে হবে নাম জপ্ তুই আগে।
	সকল কাজে সকাল সাঁঝে গভীর অনুরাগে।।
	ওরে	যে ঠাকুরে পরান যাচে
	সে	নামের মাঝে লুকিয়ে আছে,
যেমন	বীজের মাঝে মহাতরু সঙ্গোপনে জাগে।।
	বীজ না বুনে আগে ভাগেই ফসল খুঁজিস্ তুই,
	তাই চিরকাল পোড়ো জমি রইল মনের ভুঁই।
তোর	কোন্ পথ নাম জপের শেষে
	দেখিয়ে দেবেন তিনিই এসে,
তোর	জীবন হবে প্রেমে রঙীন রঙ যদি রে লাগে।
	তাঁর মধুর নামের রঙ যদি রে লাগে।।

বাণী

ঝর ঝর বারি ঝরে অম্বর ব্যাপিয়া
এসো এসো মেঘমালা প্রিয়া প্রিয়া।।
দূরে থেকো না এই শ্রাবণ নিশীথে
কাঁদে তব তরে পিয়াসি হিয়া।।
বিজলি খুঁজে ফেরে সুদূর আকাশে
হৃদয়ে কাঁদে প্রেম পাপিয়া পিয়া।।

বাণী

		আজ নিশীথে অভিসার তোমারি পথে প্রিয়তম।
		বনের পারে নিরালায় দিও হে দেখা নিরুপম।।
		সুদূর নদীর ধারে নিরালাতে বালুচরে
		চখার তরে যথা একা চখি কেঁদে মরে
		সেথা সহসা আসিও গোপন প্রিয় স্বপন সম।।
		তোমারি আশায় ঘুরি শত গ্রহে শত লোকে,
(ওগো) 	আমারি বিরহ জাগে বিরহী চাঁদের চোখে,
		আকুল পাথার নিরাশার পারায়ে এসো প্রাণে মম।।

বাণী

তুমি সুন্দর হতে সুন্দর মম মুগ্ধ মানস-মাঝে।।
ধ্যানে, জ্ঞানে, মম হিয়ার মাঝারে তোমারি মূরতি রাজে।।
	তোমারি বিহনে হৃদয় আঁধার
	তোমারি বিরহে বহে আঁখি-ধার,
আকাশে বাতাসে নিখিল ভুবনে বেদনার বাঁশি বাজে — 
পাব কি গো দেখা বারেকের তরে আমার জীবন-সাঁঝে।।