মোহাম্মদের নাম জপেছিলি বুলবুলি তুই আগে
বাণী
মোহাম্মদের নাম জপেছিলি বুলবুলি তুই আগে। তাই কিরে তোর কণ্ঠেরি গান, (ওরে) এমন মধুর লাগে।। ওরে গোলাপ নিরিবিলি নবীর কদম ছুঁয়েছিলি — তাঁর কদমের খোশবু আজো তোর আতরে জাগে।। মোর নবীরে লুকিয়ে দেখে তাঁর পেশানির জ্যোতি মেখে, ওরে ও চাঁদ রাঙলি কি তুই গভীর অনুরাগে।। ওরে ভ্রমর তুই কি প্রথম চুমেছিলি তাঁহার কদম, গুন্গুনিয়ে সেই খুশি কি জানাস্ রে গুল্বাগে।।
আজ উদার আকাশে ছুটির
বাণী
আজ উদার আকাশে ছুটির শঙ্খ-ঘণ্টা বাজায় কে। প্রবাসীর মন উচাটন, শোনে — ‘দীপ জ্বাল্, উলু দে’।। আর মন লাগে নাকো কাজে, শ্রবণের কাছে চুড়ি-কঙ্কণ বাজে। এলোমেলো বায়ে এলো, কবরীর সৌরভ এলো যে।। কোথা আনন্দ-নন্দিনী কার চন্দন বুঝি ঘষে; মন মেতে ওঠে মৌমাছি-সম, নন্দন-মধু রসে। তৃতীয়া চাঁদের রসকলি পরি’ বৈষ্ণবী সেজে এলো বিভাবরী; বাউল-হৃদয়! চল্ রে বাহিরে, হাতে একতারা নে।।
ওমা ত্রিনয়নী! সেই চোখ দে
বাণী
ওমা ত্রিনয়নী! সেই চোখ দে যে-চোখ তোরে দেখতে পায়। সে নয়ন-তারায় কাজ কি তারা যে-তারা লুকায় মা তারায়।। আমি চাইনে সে-চোখ যে-চোখ দেখে মায়া অনিত্য এই সংসারেরই ছায়া, যে-দৃষ্টি দেখে নিত্য তোরে সেই দৃষ্টি দে আমায়।। ওমা নিবিয়ে দে এই নয়ন-প্রদীপ দেখায় যাহা দুঃখ শোক, এই আলেয়া পথ ভুলিয়ে যায় মা নিয়ে নরক-লোক। তোর সৃষ্টি চির-আনন্দময় নাকি দেখব সে-লোক, দে মোরে সেই আঁখি, দেখে না রোগ-মৃত্যু-জ্বরা তোর সন্তান সেই দৃষ্টি চায়।।