বাণী

কেন আসিলে যদি যাবে চলি’।
গাঁথিলে না মালা ছিঁড়ে ফুল-কলি।।
কেন বারে বারে আসিয়া দুয়ারে
ফিরে গেলে ‘পারে কথা নাহি বলি’,
কী কথা বলিতে, আসিয়া নিশীথে,
শুধু ব্যথা-গীতে গেলে মোরে ছলি’।।
প্রভাতের বায়ে কুসুম ফুটায়ে,
নিশীথে লুকায়ে উড়ে গেল অলি।।
কবি শুধু জানে, কোন্ অভিমানে,
চাহি যারে গানে কেন তা’রে দলি।।

বাণী

জাগো জাগো শঙ্খ-চক্র-গদা-পদ্ম-ধারী।
কাঁদে ধরিত্রী নিপীড়িতা, কাঁদে ভয়ার্ত নরনারী।।
	আনো আরবার ন্যায়ের দণ্ড
	দৈত্য-ত্রাসন ভীম প্রচণ্ড,
অসুর-বিনাশী উদ্যত আসি ধর ধর দানবারি।।
	ঐ বাজে তব আরতি বোধন,
	কোটি অসহায় কণ্ঠে রোদন!
	ব্যথিত হৃদয়ে ফেলিয়া চরণ
	বেদনা-বিহারী এসো নারায়ণ,
রুদ্ধ কারার অন্ধ প্রাকার-বন্ধন অপসারি’।।

বাণী

সেই মিঠে সুরে মাঠের বাঁশরি বাজে।
নিঝুম নিশীথে ব্যথিত বুকের মাঝে॥
	মনে প’ড়ে যায় সহসা কখন
	জল ভরা দু’টি ডাগর নয়ন,
পিঠ-ভরা চুল সেই চাঁপা ফুল ফেলে ছু’টে যাওয়া লাজে॥
হারানো সে-দিন পাব না গো আর ফিরে,
দেখিতে পাব না আর সেই কিশোরীরে।
	তবু মাঝে মাঝে আশা জাগে কেন
	আমি ভুলিয়াছি ভোলেনি সে যেন,
গোমতীর তীরে পাতার কুটীরে (সে) আজও পথ চাহে সাঁঝে।

বাণী

ওগো	ফুলের মতন ফুল্ল মুখে দেখছি একি ভুল।
	হাসির বদল দোলে সেথায় অশ্রুকণার দুল।।
		রোদের দাহে বালুচরে
		মরা নদী কেঁদে মরে
	গাইতে এসে কাঁদছে ব'সে বাণ-বেঁধা বুলবুল।।
	ভোর-গগনে পূর্ণ চাঁদের এমনি মলিন মুখ,
	ঝড়ের কোলে এমনি দোলে প্রদীপ-শিখার বুক।
		ম্লান-মাধুরী মালার ফুলে
		এমনি নীরব কান্না দোলে,
	করুণ তুমি নির্জনের দেবীর সমতুল।।

বাণী

মোহাম্মদ মোর নয়ন-মণি মোহাম্মদ নাম জপমালা।
ঐ নামে মিটাই পিয়াসা ও নাম কওসারের পিয়ালা।।
	মোহাম্মদ নাম শিরে ধরি,
	মোহাম্মদ নাম গলায় পরি,
ঐ নামের রওশনীতে আঁধার এ মন রয় উজালা।।
	আমার হৃদয়-মদিনাতে
	শুনি ও নাম দিনে-রাতে,
ও নাম আমার তস্‌বি হাতে, মন-মরুতে গুলে-লালা।।
	মোহাম্মদ মোর অশ্রু চোখের
	ব্যথার সাথী শান্তি শোকের,
চাইনে বেহেশ্‌ত যদি ও নাম জপ্‌তে সদা পাই নিরালা।।

বাণী

ভোলো ভোলো ভোলো মান, ভোল আমারে।
আঁধারে যে ফুল ফোটে, ভোলো তাহারে॥
ভুলিতে যদি গো লাগে বুকেতে ব্যথা’
নিঠুর মরম-বাণে না ক’য়ো কথা,
দরদি গো সে-ব্যথারে রাখিবি কাহারে॥