প্রাণের ঠাকুর লীলা করে আমার দেহের আঙিনাতে
বাণী
প্রাণের ঠাকুর লীলা করে আমার দেহের আঙিনাতে রসের লুকোচুরি খেলা নিত্য আমার তারই সাথে।। তারে নয়ন দিয়ে খুঁজি যখন অন্তরে সে লুকায় তখন অন্তরে তায় ধরতে গেলে লুকায় গিয়ে নয়ন-পাতে।। ঐ দেখি তার হাসির ঝিলিক আমার ধ্যানের ললাট-মাঝে ধরতে গেলে দেখি সে নাই কোন্ সুদূরে নূপুর বাজে। এত কাছে রয় সে তবু পাই না তারে হাতে হাতে।।
মা মেয়েতে খেল্ব পুতুল আয় মা
বাণী
মা মেয়েতে খেল্ব পুতুল আয় মা আমার খেলাঘরে। আমি মা হয়ে মা শিখিয়ে দেব পুতুল খেলে কেমন করে।। কাঙাল অবোধ করবি যারে বুকের কাছে রাখিস্ তারে (মা) [নইলে কে তার দুখ ভোলাবে যারে রত্ন মানিক দিবি না মা, উচিত সে তার মাকে পাবে] আবার কেউ বা ভীষণ দামাল হবে কেউ থাকবে গৃহ কোণে প’ড়ে।। মৃত্যু সেথায় থাকবে না মা থাকবে লুকোচুরি খেলা রাত্রি বেলায় কাঁদিয়ে যাবে আসবে ফিরে সকাল বেলা। কাঁদিয়ে খোকায়, ভয় দেখিয়ে, ভয় ভোলাবি আদর দিয়ে (মা) [বেশি তারে কাঁদাস না মা, মা ছেড়ে সে পালিয়ে যাবে] সে খেলে যখন শ্রান্ত হবে ঘুম পাড়াবি বক্ষে ধ’রে।।
নাম মোহাম্মদ বোল রে মন
বাণী
নাম মোহাম্মদ বোল রে মন নাম আহমদ বোল। যে নাম নিয়ে চাঁদ-সেতারা আস্মানে খায় দোল।। পাতায় ফুলে যে নাম আঁকা ত্রিভুবনে যে নাম মাখা, যে নাম নিতে হাসিন ঊষার রাঙে রে কপোল।। যে নাম গেয়ে ধায় রে নদী, যে নাম সদা গায় জলধি, যে নাম বহে নিরবধি পবন হিল্লোল।। যে নাম রাজে মরু-সাহারায়, যে নাম বাজে শ্রাবণ-ধারায়, যে নাম চাহে কাবার মসজিদ — মা আমিনার কোল।।