শ্মশানে জাগিছে শ্যামা
বাণী
শ্মশানে জাগিছে শ্যামা অন্তিমে সন্তানে নিতে কোলে জননী শান্তিময়ী বসিয়া আছে ঐ চিতার আগুণ ঢেকে স্নেহ–আঁচলে। সন্তানে দিতে কোল ছাড়ি’ সুখ কৈলাস বরাভয় রূপে মা শ্মশানে করেন বাস, কি ভয় শ্মশানে শান্তিতে যেখানে ঘুমাবি জননীর চরণ–তলে।। জ্বলিয়া মরিলি কে সংসার জ্বালায় তাহারে ডাকিছে মা ‘কোলে আয়, কোলে আয়’ জীবনে শ্রান্ত ওরে ঘুম পাড়াইতে তোরে কোলে তুলে নেয় মা মরণেরি ছলে।।
ও কুল-ভাঙ্গা নদী রে
বাণী
ও, কুল-ভাঙ্গা নদী রে, আমার চোখের নীর এনেছি মিশাতে তোর নীরে।। যে লোনা জলের সিন্ধুতে নদী, নিতি তব আনাগোনা মোর চোখের জল লাগবে না ভাই তার চেয়ে বেশি লোনা। আমায় কাঁদাতে দেখে আসবিনে তুই রে, উজান বেয়ে ফিরে' নদী, উজান বেয়ে ফিরে'।। আমার মন বোঝে না, নদী — তাই বারে বারে আসি ফিরে তোর কাছে নিরবধি। তোরই অতল তলে ডুবিতে চাই রে, তুই ঠেলে দিস তীরে (ওরে)।।
ইয়া মোহাম্মদ বেহেশত্ হতে
বাণী
ইয়া মোহাম্মদ, বেহেশেত্ হতে খোদায় পাওয়ার পথ দেখাও এই দুনিয়ার দুঃখ থেকে এবার আমায় নাজাত দাও।। পীর মুর্শীদ পাইনি আমি, তাই তোমায় ডাকি দিবস-যামী, তোমারই নাম হউক হজরত আমার পরপারের নাও।। অর্থ-বিভব-যশ-সম্মান চেয়ে চেয়ে নিশিদিন দুঃখে শোকে জ্ব’লে মরি পরান কাঁদে শ্রান্তিহীন। আল্লা ছাড়া ত্রিভুবনে, শান্তি পাওয়া যায় না মনে কোথায় পাব সে আবহায়াত ইয়া নবীজী রাহ্ বাতাও।।
আধখানা চাঁদ হাসিছে আকাশে
বাণী
আধখানা চাঁদ হাসিছে আকাশে আধখানা চাঁদ নিচে প্রিয়া তব মুখে ঝলকিছে গগনে জ্বলিছে অগণন তারা দু’টি তারা ধরণীতে প্রিয়া তব চোখে চমকিছে।। তড়িৎ-লতার ছিঁড়িয়া আধেকখানি জড়িত তোমার জরীণ ফিতায় রানী! অঝোরে ঝরিছে নীল নভে বারি দুইটি বিন্দু তারি প্রিয়া তব আঁখি বরষিছে।। মধুর কণ্ঠে বিহগ বিলাপ গাহে, গান ভুলি’ তা’রা তব অঙ্গনে চাহে, তাহারও অধিক সুমধুর সুর তব চুড়ি কঙ্কনে ঝনকিছে।।